বাংলাদেশ ও কাতারের মধ্যে ব্যবসা-বাণিজ্য, জনশক্তি রপ্তানি, সাগরপথে পরিবহণসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে সহযোগিতা বাড়াতে দশটি চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক সই হয়েছে। মঙ্গলবার ঢাকায় কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানি এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মধ্যে বৈঠকের পর তাঁদের উপস্থিতিতে চুক্তি ও সমঝোতা স্মারকগুলো সই করেন দু’দেশের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। এরআগে বৈঠকে বাংলাদেশ ও কাতার বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কে আরও দৃঢ় করতে দুই নেতা একমত হন। কাজী ফরিদের প্রতিবেদন।
সফরের দ্বিতীয় ও শেষদিন মঙ্গলবার সকালে কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানি দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করতে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে যান। সেখানে তাকে শুভেচ্ছা জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
প্রথমে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাথে একান্ত বৈঠক করেন কাতারের আমির। এসময় দুদেশের স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করেন তারা।
এরপর দুদেশের প্রতিনিধিসহ দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করেন কাতারের আমির ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আলোচনায় দুদেশের সহযোগিতার নতুন ক্ষেত্র চিহ্নিত করা এবং সম্পর্ককে আরও উচ্চতায় নিয়ে যেতে ঐক্যমতে পৌঁছান দুই নেতা। তবে বৈঠকের পর সংবাদ সম্মেলন করেননি তারা। বৈঠক শেষে কাতারের আমির ও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতিতে ১০টি চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক সই হয়।
এগুলোর মধ্যে রয়েছে- আইনগত সহযোগিতা, বিনিয়োগ উন্নয়ন ও সুরক্ষা, দ্বৈতকর পরিহার, সাগরপথে পরিবহন, যৌথ ব্যবসা পরিষদ গঠনে ৫টি চুক্তি স্বাক্ষর হয়। এছাড়া শ্রমশক্তি, বন্দর ব্যবস্থাপনা, কূটনৈতিক প্রশিক্ষণ, যুব ও ক্রীড়া ক্ষেত্রে সহযোগীতা এবং উচ্চ শিক্ষা ও বৈজ্ঞানিক গবেষণা বিষয়ে ৫টি সমঝোতা স্মারক সই হয়েছে।
এরপর ঢাকার মিরপুরের কালসী এলাকায় নির্মিতব্য একটি পার্ক এবং ইসিবি চত্বর থেকে কালশী পর্যন্ত সড়কটি কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানির নামে নামকরণ করা হয়। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে ভার্চুয়ালি এই কার্যক্রম সম্পন্ন করা হয়।