সাঈদ ইবনে হানিফ ] বাঘারপাড়া ঃ আসছে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় উৎসব ” দূর্গাপুজা । দেশের অন্যান্যে এলাকার মত আয়োজনের কোন কমতি নেই যশোরের বাঘারপাড়া উপজেলার হিন্দু সম্প্রদায়ের মধ্যে । এই উপলক্ষে প্রতিটি এলাকায় এবং পাড়া মহল্লার মন্দির গুলোকে পরিচ্ছন্ন করার কাজে ব্যাস্ত সময় পার করছেন স্ব, স্ব, মন্দির কমিটির নেতৃবৃন্দ। একই সাথে ভাস্কররা রয়েছে প্রতিমা তৈরির কাজে ব্যাস্ত। সবকিছু ঠিক থাকলে আগামী কয়েকদিনের মধ্যে অধিকংশ মন্দিরে প্রতিমা তৈরির কাজ শেষ হবে । খোঁজ খবর নিয়ে দেখা গেছে, এবছর উপজেলার যে কয়টি মন্দিরে দুর্গা পূজা অনুষ্ঠিত হবে তার মধ্যে উল্লেখ যোগ্য হলো বাকড়ী ঘোড়ানাছ, বাসুয়াড়ী, ঘোষনগর, ধলগ্রাম, ঠাকুরকাটি, দরাজহাট উল্লেখ যোগ্য । এসব এলাকায় ঘুরে দেখা গেছে, মন্দির গুলোতে সনাতন ধর্মাবলম্বী মানুষদের বৃহৎ ধর্মীয় দূর্গা উৎসব উপলক্ষে চলছে প্রতিমা তৈরির কাজ । উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদ সূত্রে জানা গেছে, আগামী বাংলা আশ্বিন মাসের ৩/৪ তাং শুরু হবে হিন্দু সম্প্রদায়ের সবচেয়ে (বড়)পূজা এই দুর্গাউৎসব । সে উপলক্ষে এবছর মন্দির কমিটির নেতৃবৃন্দ আগে ভাগে প্রতিমা তৈরির কাজ শুরু করেছে। প্রতিটি মন্দিরে ভাস্কররা তাদের নিপুণ হাতের কারুকার্য বিরামহীন ভাবে চালিয়ে যাচ্ছেন। এবিষয়ে কথা হয় বাকড়ী ঘোড়ানাছ এলাকার বাবু নিমাই দাশের সাথে। তিনি বললেন, অন্যান্যে বছরের তুলনায় এ বছর একটু বড় আকারে আয়োজন করার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে । যে কারণে মহল্লাবাসির মধ্যে এক ধরনের উৎফুল্ল্য ভাব দেখা যাচ্ছে । তিনি বলেন, প্রতিবেশীদের সাথে মিলেমিশে উৎসব করা আনন্দের বিষয় । পাশেই প্রতিমা তৈরির কাজে ব্যাস্ত বাস্কর খুলনার কয়রা উপজেলার আমাদি ইউনিয়নের চন্ডি পুরের সুজন শানা ও তার দুই সহকারী পুলকেশ সরকার ও অনুপম সরকার । তারা বলেন, এবছর বাঘারপাড়ার ঘোড়া নাছ সহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে আরও ৭ /৮ টি মন্দিরে প্রতিমা তৈরীর কাজ তারা হাতে পেয়েছে । কাদামাটির কাজ শেষ হলে রংতুলির কাজও তারা করবেন। কিছু কিছু মন্দিরে প্রতিমার ৬০/ শতাংশ কাজ ইতিমধ্যে শেষ হয়েছে ।