২৭শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ / ১২ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ / ২৫শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি / দুপুর ১:৫৪
২৭শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ / ১২ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ / ২৫শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি / দুপুর ১:৫৪

বাঘারপাড়ায় সবুজ মাঠে মাঠে দুলছে সোনালী ধানের হাঁসি – স্বপ্ন বুনছে কৃষক


সাঈদ ইবনে হানিফ ] যশোরের বাঘারপাড়া উপজেলার সবুজ মাঠ গুলোতে এখন সোনালী ধানের হাঁসিতে দোল খাচ্ছে । পাঁকা ধানের মূহমুহ গন্ধে আবেগ উদ্বেলিত কৃষকের মন। ঘরে আসবে নতুন ধান এজন্য নতুন নতুন আশার স্বপ্ন বোনা শুরু হয়েছে কৃষকের ঘরে ঘরে । যশোর জেলার উত্তর পূর্বে অবস্থিত বাঘারপাড়া উপজেলা। এই উপজেলায় যেমন উচু জমি রয়েছে তেমনই আবার তুলনামূলক নিচু জমি ও রয়েছে । এজন্য অঞ্চল ভেদে তরকারি জাতীয় ফসলের পাশাপাশি ধান শস্যা উৎপাদন ও হয় সমান ভাবে। উপজেলার বেশিরভাগ পরিবারের কর্তাগন কোন না কোন ভাবে কৃষি কাজের সাথে জড়িত। খোঁজ খবর নিয়ে দেখা গেছে, এবছর যশোরের বাঘারপাড়া উপজেলার প্রতি টি এলাকার মাঠ গুলোতে পর্যাপ্ত পরিমাণে বোরো ধানের আবাদ হয়েছে। শুরু থেকে আবহাওয়া অনেক টাই কৃষকের অনুকূলে ছিল। শেষের দিকে কিছুটা প্রতিকূল আবহাওয়ার মধ্যে দিয়ে অতিবাহিত হলেও সেচ প্রকল্প এবং কৃষকদের সঠিক তদারকির কারণে ধান ক্ষেতগুলোর তেমন কোন ক্ষতি হয়নি। উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তার বরাত দিয়ে জানা যায়, উপজেলার মাঠগুলোতে এখন পাঁকা বা অর্ধপাকা ধান দোল খাচ্ছে। ধান ক্ষেতগুলোতে লক্ষ্য করলে দেখা যায়, আশানুরূপ ফলন হয়েছে। শেষ পযর্ন্ত যদি আবহাওয়া অনুকূলে থাকে এবং কৃষকগন যদি সুস্থ ভাবে ধান ঘরে তুলতে পারে তবে উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হবে । উপজেলার বাগডাঙ্গা গ্রামের একজন আদর্শ কৃষক মোঃ ইকবাল কবির, তিনি বলেন, অন্যের জমি বন্ধক নিয়ে দুই বিঘা জমিতে ধান চাষ করেছি । চার হাজার টাকা বিঘা চুক্তিতে সেচ এবং অন্যান্যে খরচ মিলিয়ে বিঘা প্রতি প্রায় ১০ থেকে ১১ হাজার টাকা খরচ হয়। তবু্ও ফলন ভালো হয়েছে বিধায় আল্লাহর রহমতে আমি খুশি। এখন সুস্থ্য ভাবে ঘরে উঠাতে পারলেই চিন্তা মুক্ত হবো। ঘোষনগর গ্রামের সোহরাব হোসেন, সেলিম হোসেন, মশিয়ার রহমান, ওয়াদীপুর গ্রামের মোহাসিন আলী, সহ অনেকেই বলেন, এবছরে ধানের ফলন ভালো হয়েছে, যতটুকু চাষাবাদ করেছি রোগ বালা ছাপিয়ে এখনও ভালো ফলন দেখা যাচ্ছে। তারা বলেন, আমাদের মত কৃষক পরিবার গুলোর আগামী কয়েক মাসের স্বপ্ন এখনও পর্যন্ত মাঠে দোল খাচ্ছে। সুস্থ্য ভাবে ঘরে না আসা পর্যন্ত কেউ- ই চিন্তা মুক্ত নয় বলে জানিয়েছে তারা। উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা জানিয়েছেন, অধিকাংশ মাঠে ধান পেঁকে গেছে,কিন্তু শ্রমিক সংকটে রয়েছে কৃষকগন এজন্য কৃষকদের পাঁকা ধাঁন কাটতে কিছুটা ধীরগতি লক্ষ্য করা গেছে। তবে আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে আগামী ১৫ /২৬ দিনের মধ্যে উপজেলার সব মাঠের ধান কৃষকের উঠানে পৌঁছে যাবে বলে আশা কারা হচ্ছে।

Facebook
Twitter
LinkedIn