আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু করলো দেশের শীর্ষস্থানীয় শিল্প প্রতিষ্ঠান ওরিয়ন গ্রুপের ইলেকট্রনিকস ও গৃহসামগ্রী পণ্যের ব্র্যান্ড ওরিয়ন হোম অ্যাপলায়েন্স লিমিটেড।
বৃহস্পতিবার রাজধানীর মিরপুর ১১ ও মোহাম্মদপুরে ওরিয়ন হোম অ্যাপলায়েন্সের নতুন দুটি শোরুমও উদ্বোধন হলো একই সাথে।
নতুন এই যাত্রা উপলক্ষে ওরিয়ন গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সালমান ওবায়দুল করিম, পরিচালক আরজুদা করিম, জেরিন করিম ও মেহেদী হাসান উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
প্রতিষ্ঠানে বক্তারা জানান, শুক্রবার যাত্রাবাড়ী এবং লালবাগে আরো দুটি আউটলেট চালু হবে।
অনুষ্ঠানে সালমান ওবায়দুল করিম বলেন, ছোট আকারের হোম অ্যাপায়েলেন্স মূলত হালকা শিল্পের মধ্যেই পড়ে, ফলে এর রফতানির ভালো সম্ভাবনা রয়েছে।
তিনি আরো বলেন, বাজেটে ১০ বছর মেয়াদী কর অবকাশের সুবিধাও তাদেরকে এই খাতে বড়সড় পরিকল্পনা নিয়ে বিনিয়োগে অনুপ্রাণিত করেছে।
প্রতিষ্ঠানটির বিজনেস ডেভলপমেন্ট এবং করপোরেট সেলস প্রধান মোহাম্মদ রফিকুল কাদির সিদ্দিকী পারভেজ জানান, ইতোমধ্যে ভালুকা ও ময়মনসিংহে প্রতিষ্ঠানটির নবনির্মিত কারখানায় বিভিন্ন ধরনের গৃহসামগ্রী পণ্যের উৎপাদন ও সংযোজনের কাজ শুরু হয়েছে। ৪৫০ কোটি টাকা বিনিয়োগে যাত্রা শুরু করা নতুন এই উদ্যোগের মাধ্যমে প্রায় এক হাজার মানুষের কর্মসংস্থান হয়েছে বলে জানান তিনি।
ইউরোপীয় মানদণ্ড অনুসরণ করে নতুন কারখানা নির্মাণ করেছে ওরিয়ন গ্রুপ। পণ্য উৎপাদনের পরিকল্পনায় নিয়োজিত আছে প্রতিষ্ঠানটির নিজস্ব গবেষণা ও মানোন্নয়ন দল।
প্রাথমিকভাবে ওরিয়ন বিভিন্ন রঙের রেফ্রিজারেটরের ৮টি মডেল নিয়ে এসেছে। টেলিভিশনের মধ্যে রয়েছে আলট্রা হাইডেফিনিশন বিশিষ্ট (ফোর কে) ২৪ ইঞ্চি থেকে ৫৫ ইঞ্চি মডেলের টেলিভিশন সেট।
পারভেজ বলেন, আমরা সাশ্রয়ী মূল্যে বিভিন্ন পরিসরের ইলেকট্রনিক এবং ইলেকট্রিক্যাল অ্যাপলায়েন্স নিয়ে এসেছি। গৃহসামগ্রী পণ্যের স্থায়িত্ব এবং সেরা মানের নিশ্চয়তা দিচ্ছি আমরা।
রাজধানী ও অন্যান্য বড় শহরের গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলো ছাড়াও সারাদেশে ওরিয়ন হোম অ্যাপলায়েন্স পৌঁছে দেয়ার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
পারভেজ জানান, খুব শিগগিরই ওরিয়ন ৫০টি নতুন আউটলেট চালু করবে। এক বছরের মধ্যে এই সংখ্যা ২০০-তে পৌঁছাবে বলে আশা করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, এর বাইরে ডিলারশিপ এবং ফ্র্যাঞ্জাইজির সাহায্যে প্রতিষ্ঠানটি বিভিন্ন ধারার ক্রেতাদের কাছে পণ্য পৌঁছে দিবে।
ওরিয়ন গ্রুপ ওষুধ, কসমেটিকস ও টয়লেট্রিজ, অবকাঠামোগত উন্নয়ন, আবাসন ও নির্মাণ, বৈদ্যুতিক শক্তি, হাই-টেক কৃষি পণ্য, হসপিটালিটি, টেক্সটাইল ও গার্মেন্টস, বিমান চালনা প্রভৃতি শিল্পখাতে শীর্ষ অবস্থান নিশ্চিত করেছে। পুঁজিবাজারেও প্রতিষ্ঠানটির বেশ কয়েকটি খাত সফলতার সাথে তালিকাভুক্ত রয়েছে।