২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেটে রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্য ধরা হয়েছে ৫ লাখ ৪৫ হাজার ৪০০ কোটি টাকা। যা চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরের চেয়ে ৮ শতাংশ বেশি। চলতি বছরে রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্য রয়েছে ৫ লাখ ৩ হাজার ৯০০ কোটি টাকা।
বৃহস্পতিবার (৬ই জুন) বিকেলে জাতীয় সংসদে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপস্থিতিতে এ বাজেট প্রস্তাব উপস্থাপন করছেন অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী। এটি দেশের ৫৪তম বাজেট এবং আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন সরকারের ২১তম। আর বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকারের টানা ১৬তম বাজেট।
মোট রাজস্বের মধ্যে এনবিআরকে লক্ষ্যমাত্রা দেওয়া হচ্ছে ৪ লাখ ৮০ হাজার কোটি টাকা। এনবিআরবহির্ভূত করের লক্ষ্য ধরা হচ্ছে ১৫ হাজার কোটি টাকা। আর কর ছাড়া প্রাপ্তির লক্ষ্য ধরা হচ্ছে ৪৬ হাজার কোটি টাকা।
বাজেট বক্তৃতায় অর্থমন্ত্রী বলেন, অর্থনীতি নানামুখি চাপে রয়েছে। অভ্যন্তরীণ ও বহির্বিশ্বের নানা সংকট বিদ্যমান। এর প্রভাব পড়ছে রাজস্ব আদায়েও। রয়েছে উচ্চ মূল্যস্ফীতি। মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে রাখাই আগামী ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রধান লক্ষ্য। এ জন্য আগামী বছরের বাজেট ৮ লাখ কোটি টাকার মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখা হয়েছে।’
আগামী অর্থবছরে বাজেটের আকার চূড়ান্ত করা হচ্ছে ৭ লাখ ৯৭ হাজার কোটি টাকা। এটি চলতি (২০২৩-২৪) অর্থবছরের বাজেটের তুলনায় ৪ দশমিক ৬০ শতাংশ বেশি। টাকার অঙ্কে বাড়ছে ৩৫ হাজার ১১৫ কোটি টাকা। আর চলতি অর্থবছরে বাজেটের আকার রয়েছে ৭ লাখ ৬১ হাজার ৭৮৫ কোটি টাকা।
অবশ্য চলতি অর্থবছরের সংশোধিত বাজেটের আকার হয়েছে ৭ লাখ ১৪ হাজার ৪১৮ কোটি টাকা। সংশোধিত বাজেটে কমেছে ৪৭ হাজার ৩৬৭ কোটি টাকা। যা মোট বাজেটের ৬ দশমিক ২৩ শতাংশ।
আগামী ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেটে ঘাটতি ধরা হয়েছে ২ লাখ ৫৬ হাজার কোটি টাকা। যা জিডিপির ৪ দশমিক ৬ শতাংশ। এ ঘাটতি পূরণে অভ্যন্তরীণ উৎস থেকে নেওয়া হবে ১ লাখ ৫৫ হাজার কোটি টাকা। এর মধ্যে ব্যাংক খাত থেকে নেওয়া হবে এক লাখ ৩৭ হাজার ৫০০ কোটি টাকা। এর বাইরে সঞ্চয়পত্র থেকে বিক্রি করা ১৫ হাজার ৪০০ কোটি টাকার। অবশিষ্ট অর্থ নেওয়া হবে অন্যান্য উৎস থেকে