এবছর আবারও ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। গত ৬ মাসেই ৪ হাজার ছাড়িয়েছে আক্রান্তের সংখ্যা। আর মারা গেছেন ২৯জন। রাজধানীতেই সবচেয়ে বেশি রোগি। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এডিশ মশার বিস্তার কমাতে না পারলে রোগী বাড়বেই। তবে সিটি কর্পোরেশন থেকে বলা হচ্ছে, নিয়মিতই মশার ওষুধ ছিটানো হচ্ছে। ব্যক্তি পর্যায়ে সচেতনতা না বাড়লে মশার বিস্তার কমানো যাবে না।
রাজধানীর বিভিন্ন হাসপাতালে ভিড় বাড়ছে ডেঙ্গু রোগির। একদিনে সর্বোচ্চ ২৮৫ জন নতুন রোগি ভর্তির রেকর্ড হয়েছে। সারাবছরই কিছু কিছু ডেঙ্গু রোগি পাওয়া যায়। তবে এ বছর বর্ষা মৌসুম শুরুর আগেই অনেক বেশি রোগি পাওয়া যাচ্ছে।
রাজধানীর মুগদা জেনারেল হাসপাতালে বেশি রোগি চিকিৎসা নিচ্ছেন। এরপর ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালসহ অন্যান্য হাসপাতালেও রোগির চাপ বেশি। চলতি বছর এখন পর্যন্ত যে ২৯ জন মারা গেছে তাদের মধ্যে জুন মাসেই মারা গেছে ১৬ জন।
ডেঙ্গুতে মৃত্যুর কারণ হিসেবে সময়মত হাসপাতালে না যাওয়া এবং চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়াই ওষুধ খাওয়ার প্রবণতাকে দায়ী করছেন চিকিৎসকরা।
ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের স্বাস্থ্য কর্মকর্তা জানান, বর্তমানে সকাল-বিকাল ওষুধ ছিটানো হচ্ছে।
তবে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় এডিস মশার লার্ভা মিলছে। বিশেষ করে বৃষ্টির জমা পানি এবং নির্মানাধীন ভবন ও এর আশেপাশে। স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক জানান, মশা নিয়ন্ত্রণে সিটি কর্পোরেশনের কাজে ঘাটতি রয়েছে।
মশা নিধন ও সচেতনতা বাড়াতে আগামী সপ্তাহ থেকে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করবে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন।