২৩শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ / ৮ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ / ২১শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি / সকাল ৮:১৪
২৩শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ / ৮ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ / ২১শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি / সকাল ৮:১৪

বাড়ছে না করমুক্ত আয়সীমা

আগামী অর্থবছরের (২০২৪-২৫) জন্য করমুক্ত আয়সীমা অপরিবর্তিত রাখার প্রস্তাব করেছেন অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী। তবে আয়কর হার নির্ধারণে একটি ধাপ বাড়ানো হয়েছে। সর্বোচ্চ করহার ৫ শতাংশ বাড়ানো হয়েছে। এতে বিত্তশালীদের আয়করের পরিমাণ বাড়বে।

প্রস্তাবিত বাজেট অনুযায়ী আয়ের প্রথম সাড়ে ৩ লাখ টাকার ওপর কোনো কর দিতে হবে না। পরবর্তী এক লাখ টাকার ওপর ৫ শতাংশ, পরবর্তী ৩ লাখ টাকায় ১০ শতাংশ, পরবর্তী ৪ লাখ টাকায় ১৫ শতাংশ আয়কর দিতে হবে। এরপর পরবর্তী ৫ লাখ টাকার ওপর ২০ শতাংশ, পরবর্তী ২০ লাখ টাকায় ২৫ শতাংশ এবং বাকি আয়ের ওপর দিতে হবে ৩০ শতাংশ আয়কর।

চলতি অর্থবছরেও করমুক্ত আয়সীমা নির্ধারণ করা হয় সাড়ে তিন লাখ টাকা। অর্থাৎ আয়ের প্রথম সাড়ে ৩ লাখ টাকার ওপর কোনো কর দিতে হচ্ছে না। পরবর্তী এক লাখ টাকার ওপর ৫ শতাংশ, পরবর্তী ৩ লাখ টাকায় ১০ শতাংশ, পরবর্তী ৪ লাখ টাকায় ১৫ শতাংশ, পরবর্তী ৫ লাখ টাকার ওপর ২০ শতাংশ এবং বাকি আয়ের ওপর ২৫ শতাংশ আয়কর দিতে হচ্ছে।

তথ্য পর্যালোচনায় দেখা যায়, এনবিআর কখনোই টানা করমুক্ত আয়ের সীমা বাড়ায়নি। সাধারণত ২ থেকে ৩ বছর বিরতি দিয়ে করমুক্ত আয়ের সীমা বাড়ানো হয়েছে। সর্বশেষ চলতি (২০২৩-২৪) অর্থবছরের বাজেটে করমুক্ত আয়ের সীমা ৩ লাখ টাকা থেকে বাড়িয়ে সাড়ে ৩ লাখ টাকা করা হয়। তার আগে ২০২০-২১ অর্থবছরে করমুক্ত আয়ের সীমা আড়াই লাখ থেকে বাড়িয়ে ৩ লাখ এবং ২০১৫-১৬ অর্থবছরে ২ লাখ ২০ লাখ হাজার টাকা থেকে বাড়িয়ে আড়াই লাখ টাকা করা হয়।

বর্তমানে নারী করদাতাদের করমুক্ত আয়ের সীমা ৪ লাখ টাকা, প্রতিবন্ধী ও তৃতীয় লিঙ্গের করদাতাদের ৪ লাখ ৭৫ হাজার টাকা এবং গেজেটভুক্ত যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধাদের করদাতাদের করমুক্ত সীমা ৫ লাখ টাকা। আগামী অর্থবছরের জন্যও নারী, প্রতিবন্ধী ও তৃতীয় লিঙ্গ এবং গেজেটভুক্ত যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধাদের করমুক্ত আয় সীমা একই রাখা হয়েছে।

একই সঙ্গে কোনো প্রতিবন্ধীর পিতা-মামা বা আইনানুগ অভিভাবকের ক্ষেত্রে প্রত্যেক সন্তান বা পোষ্যের জন্য করমুক্ত আয়সীমা ৫০ হাজার টাকার করার কথা বলেছেন অর্থমন্ত্রী। চলতি অর্থবছরের বাজেটেও একই প্রস্তাব ছিল।

চলতি বছরের প্রস্তাবিত বাজেটে যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য ৪ লাখ ৭৫ হাজার টাকা থেকে করমুক্ত আয়সীমা বাড়িয়ে ৫ লাখ টাকা করা হয়। এছাড়া, তৃতীয় লিঙ্গের করদাতাদের করমুক্ত আয়সীমা সাড়ে ৩ লাখ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৪ লাখ ৭৫ হাজার টাকা করা হয়।

Facebook
Twitter
LinkedIn