আইনি নির্দেশনা মেনে মেজো মেয়ে লায়লা লিনাকে নিয়ে গুলশান থানায় গিয়েছিলেন বাবা ইমরান শরীফ। তবে মেয়েকে নিতে আসেননি জাপানিজ স্ত্রী নাকানো এরিকো।
শনিবার (১১ ফেব্রুয়ারি) পূর্বনির্ধারিত সময় অনুযায়ী সকাল ১১টায় মেয়েকে নিয়ে গুলশান থানায় যান ইমরান শরীফ। কিন্তু ঘণ্টাখানেক অপেক্ষা করেও স্ত্রীকে না পেয়ে থানা থেকে চলে যান তিনি।
ইমরান শরীফ বলেন, গত ২ ফেব্রুয়ারি আদালত নির্দেশ দিয়েছেন ১৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত মেজো মেয়ে লায়লাকে একদিন বাবার কাছে একদিন মায়ের কাছে রাখতে হবে। সে হিসেবে ৩ ফেব্রুয়ারি থেকে একদিন পর পর থানায় গিয়ে মেয়েকে তার মায়ের কাছে দিতে যায়। কিন্তু ৯ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত মেয়ে একদিনও মায়ের কাছে যেতে রাজি হয়নি। তাকে অনেক টানা হেঁচড়া করেও তার মায়ের কাছে নেওয়া যায়নি। সে কোনোভাবেই মায়ের কাছে যাবে না। তবুও আদালতের নির্দেশ পালন করতে একদিন পর পর থানায় এসে দায়িত্ব পালন করছি। নতুবা অভিযোগ তুলবে- আদালত অবমাননা করছি। তাই কষ্ট হলেও মেয়েকে নিয়ে থানায় আসতে হচ্ছে।
তিনি বলেন, এভাবে আর কতদিন চলবে। আদালত যদি বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে অন্তত মেজো মেয়েকে আমার কাছে থাকবে থানা অনুমতি দেয় তাহলে হাফ ছেড়ে বাঁচতাম। সেই সঙ্গে মেয়েদের পড়াশুনার ব্যাঘাত ঘটছে। এবিষয়টিও যেন আদালত সুবিেবচনায় রাখে সে দাবিও জানান তিনি।
মেয়েকে নিতে কেন থানায় আসেননি জাপানিজ নারী এরিকো সে বিষয়ে কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি। পুলিশও এবিষয়ে কোনো মন্তব্য করেননি।