শিবচরের বাংলাবাজার-শিমুলিয়া নৌরুটের কাঁঠালবাড়ী ঘাটে একটি বাল্কহেডের সাথে স্পিডবোটের সংঘর্ষে ২৬ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। সোমবার সকাল সাতটার দিকে এই দুর্ঘটনাটি ঘটে।
দুর্ঘটনার পর একের পর এক লাশ উদ্ধার হচ্ছে। সকাল সোয়া দশটা পর্যন্ত ২৬ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
এদের মধ্যে তিন শিশু, ১ নারী রয়েছেন। এছাড়াও আহতাবস্থায় স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন চারজন।
স্থানীয় একাধিক সূত্রে জানা গেছে, সকাল সাতটার দিকে কাঁঠালবাড়ী ঘাটে নদীতে নোঙর করে রাখা একটি বাল্কহেডের সাথে শিমুলিয়া থেকে যাত্রী বোঝাই একটি স্পিডবোট পেছন দিক থেকে ধাক্কা দিলে স্পিডবোটটি দুমড়ে-মুচড়ে যায়। পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস উদ্ধার অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে।
শিবচর থানার ওসি মো. মিরাজ হোসেন বলেন, ‘এ পর্যন্ত তিন শিশুসহ ২৬ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
৪ জন চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
৬ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন
পদ্মায় স্পিডবোট দুর্ঘটনায় ৬ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। স্থানীয় সরকার বিভাগীয় উপ-পরিচালক আজহারুল ইসলামকে প্রধান করে ৬ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তিন কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিবেন এ তদন্ত কমিটি। জেলা প্রশাসক ড. রহিমা খাতুন বলেন, ‘লাশ নেয়া ও দাফন খরচ বাবদ নিহত প্রত্যেকের পরিবারকে জনপ্রতি ২০ হাজার টাকা করে দেয়া হবে। ৬ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটি আগামী তিন কার্য দিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেবে।
উল্লেখ্য, লকডাউনে গণপরিবহন বন্ধ থাকার পাশপাশি নৌরুটে লঞ্চ ও স্পিডবোট চলাচল বন্ধ রয়েছে। তবে এরই মধ্যে কিছু অসাধু স্পিডবোট চালক অবৈধভাবে যাত্রী পারাপার করে আসছে।