২৭শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ / ১২ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ / ২৫শে জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি / ভোর ৫:৩৮
২৭শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ / ১২ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ / ২৫শে জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি / ভোর ৫:৩৮

বিআরটিএ-তে সংস্কার জরুরি

২২ ডিসেম্বর ২০২৪ (রবিবার) দেশের বিআরটিএ সার্কেল গুলোতে সার্ভার না থাকায় লাইসেন্স আবেদনকারী পরীক্ষার্থীরা রিটেন-ভাইভা এবং প্র্যাকটিক্যাল পরীক্ষা দিতে ব্যর্থ হন। বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ-র বরাতে সবাইকে আশ্বস্ত করা হয়- ২৩ তারিখ (সোমবার) সবার ফিঙ্গার নেয়া হবে। এমনকি পরীক্ষায় যারা কৃতকার্য হয়েছে সবার অনলাইন কপি দিয়ে দেয়া হবে। বিআরটিএ কথা তো রাখেইনি বরং অনেক পরীক্ষার্থীকে কর্তৃপক্ষ ফেল করিয়ে দেয়। যা আচানক একটি অদ্ভুতুড়ে কান্ড ঘটেছে! অকৃতকার্য হওয়া অনেকেই অভিযোগ করেছেন বিআরটিএ-তে একশ্রেণীর অসাধু কর্মকর্তা কর্মচারীরা নাকি আশানুরূপ টাকা পয়সার ভাগ ভাটোয়ারার মাসোয়ারার ভাগ চাহিদা মতো না পাওয়ায় পরীক্ষার্থীদের ফেল করিয়ে দেন। মোটরসাইকেল চালিয়ে উত্তীর্ণ হওয়ার মতই শুধু নন, বেশ পারদর্শী বাইকারেরা জানান; ‘ওদের ইচ্ছাকৃত ফেল করানোর কারণ শুধুমাত্র হয়রানির উদ্দেশ্যেই করা হয়েছে। যাদেরকে অনলাইনে ফেল দেখানো হয়েছে তারা পুনরায় পরীক্ষা দিতে গেলে আরও এক থেকে দেড় মাস অপেক্ষা করতে হবে এবং ২৩৩ টাকা জরিমানা দিয়ে পুনরায় পরীক্ষায় অংশ নিতে হবে।
বিআরটিএ-র স্বেরাচারী রোষানলে পড়া বাইকাররা অনেকেই পেশাগত চালক। যাদের অনেকের লাইসেন্স প্রয়োজন। ভোগান্তির কারণে ড্রাইভিং লাইসেন্স না পাওয়ায় অনেকে চাকরি নিতে পারছে না। অনেকে পাঠাও চালিয়েও সংসার যাপন করছে। লাইসেন্সের কারণে বাইক বা গাড়ি চালাতে না পারলে সবার পরিবারের ভরন পোষনের দায়ভার এখন কে গ্রহণ করবে বলে লাইসেন্স প্রত্যাশীরা জানতে চায়।
আরও জানা যায়; বর্তমানে ড্রাইভিং লাইসেন্স প্রত্যাশীদের ‘বায়োমেট্রিক’ পদ্বতিতে যে ডিজিট ফিঙ্গারপ্রিন্ট নেওয়া হয় এবং কার্ড প্রদান করা হয় এই প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে আওয়ামী সরকারের সময় থেকেই ছিল নানান অভিযোগ। এখনও চলছে। প্রতিটি সার্কেলে নতুন যতই সংস্কার সাধন করা হোক না কেন, অনিয়ম ও অর্থলিপ্সু কর্মচারীদের ঠেকানো না গেলে সেবা প্রত্যাশীরা প্রশাসনিক নতুনত্বের সুফল কখনও ভোগ করতে পারবে না। বিআরটিএ কেও দুর্নীতিমুক্ত করা যাবে না। ড্রাইভিং লাইসেন্স প্রত্যাশীদের বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে ফিঙ্গার প্রিন্ট ও কার্ড পাওয়ার সিস্টেম যতই পরিবর্তন করা হোক, অর্থলিপ্সু কর্মকর্তা কর্মচারীদের ঠেকানো না হলে বিআরটিএ থেকে অন্যায় অনিয়ম দুর করা সম্ভব হবে না।
মারুফ আহমেদ
বিশেষ প্রতিনিধি

Facebook
Twitter
LinkedIn