দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি ও বাজারের অস্থিরতার জন্য সরকার দলীয় নেতাকর্মীদের দোষারোপের জবাব দিয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, দুই-একজন মন্ত্রী ঠাকুরগাঁওয়ে এসে বলেছেন দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির সঙ্গে বিএনপি জড়িত। তাহলে ওনারা সরকারে আছেন কেন? এখনও যদি বিএনপি নিয়ন্ত্রণ করতে পারে, সরকারে আওয়ামী লীগ কেন আছে? এ সমস্ত কথা বলে তারা আরও হাস্যরসের সৃষ্টি করছেন।
রোববার (১৩ মার্চ) সকাল ১১টায় ঠাকুরগাঁওয়ের নিজ বাসভবনে সাংবাদিকদের সামনে এসব কথা বলেন বিএনপি মহাসচিব।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির জন্য এই সরকারের উদাসীনতা দায়ী। সরকার জনগণের সঙ্গে তামাশা করছে। মানুষের পিঠ দেয়ালে ঠেকে গেছে। প্রতিটি নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য চাল, ডাল, তেল, লবণ, চিনিসহ অন্যান্য দ্রব্যের দাম যেভাবে বেড়েছে সাধারণ মানুষ, নিম্ন আয়ের মানুষ, মধ্যবিত্তের মানুষ হিমশিম খাচ্ছে।
তিনি বলেন, এভাবে এই সরকার জনগণের প্রতি তামাশা করছে। দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ করতে না পারলে ক্ষমতা ছেড়ে দেন। মানুষের নাভিশ্বাস হচ্ছে, চাল ডাল কিনতে পারছে না।
নির্বাচন কমিশনের চায়ের দাওয়াতে যাবেন কিনা সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নে বিএনপি মহাসচিব বলেন, বিএনপি এই নির্বাচন কমিশন মানে না। চা খেতে যাওয়ার প্রশ্নই আসে না।
মির্জা ফখরুল সরকারের নতজানু পররাষ্ট্র নীতির সমালোচনা করে বলেন, এই সরকার রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধে কোনও কার্যকর ভূমিকা পালন করতে ব্যর্থ হয়েছে। তিনি রাশিয়ার আগ্রাসনের বিরুদ্ধে বিএনপির অবস্থান স্পষ্ট বলে উল্লেখ করেন।
বিএনপির মহাসচিব দেশের জনগণের বাকস্বাধীনতা, সংবাদপত্র, ইলেকট্রনিক মিডিয়া, সামাজিক মাধ্যম এবং দেশি-বিদেশি ওটিটি প্ল্যাটফর্মের স্বাধীনতা অক্ষুণ্ণ রাখতে বিটিআরসি এবং তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের ‘দ্য বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন রেগুলেটরি কমিশন রেগুলেশন ফর ডিজিটাল, সোশ্যাল মিডিয়া অ্যান্ড ওটিটি প্ল্যাটফর্মস-২০২১’ এবং ‘ওভার দ্য টপ (ওটিটি) কনটেন্টভিত্তিক পরিষেবা প্রদান এবং পরিচালনা নীতিমালা-২০২১’ এই দুই নীতিমালাসহ ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট বাতিলের দাবি জানান।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির সভাপতি তৈমুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক ফয়সাল আমিন, সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা নূর করিম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পয়গাম আলী, দফতর সম্পাদক মামুন উর রশীদসহ বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা।