২৫শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ / ১০ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ / ২৩শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি / রাত ৯:৪৬
২৫শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ / ১০ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ / ২৩শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি / রাত ৯:৪৬

বিধিনিষেধ শুধু কাগজেই

করোনার সংক্রমণ আশঙ্কাজনকভাবে বাড়ছে। কিন্তু আচরণ বদলাচ্ছে না মানুষ। সবকিছুই চলছে আগের মতো। মানা হচ্ছে না স্বাস্থ্যবিধি। সংক্রমণ রোধের প্রথম ধাপে মাস্ক পরতে বলা হলেও এখনো অনীহা প্রকাশ করছেন বেশির ভাগ মানুষ। করোনার সংক্রমণ ঠেকাতে সরকার বিধিনিষেধ জারি করলেও তার বাস্তবায়ন দেখা যাচ্ছে না মাঠে।
সরজমিন দেখা যায়, ফুটপাথ, চায়ের দোকান, খাবার হোটেল, হাটবাজার, রাস্তাঘাট, মসজিদ ও গণপরিবহনে কোথাও মানা হচ্ছে না স্বাস্থ্যবিধি। সর্বত্রই চলছে ঢিলেঢালা ভাব। হাটবাজারে বেড়েছে মানুষের সমাগম।

পাড়া-মহল্লার চায়ের দোকানে বেড়েছে আড্ডা। মসজিদে মাস্ক ছাড়া প্রবেশ করছেন মুসল্লিরা। খাবার হোটেলগুলোতে জমছে ভিড়। সন্ধ্যার পরও রাস্তাঘাটে ঘোরাঘুরি করছেন অনেকে।
রাজধানীর কাওরান বাজারে ইমন নামের এক ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী জানান, এখানে সাধারণ মানুষের উপস্থিতি অনেক বেশি। দিনরাত সবসময় ক্রেতা বিক্রেতার সমাগম হয়। এতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা সম্ভব না। এছাড়া ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা করোনার আপডেট তথ্য জানেন না। ফলে আগের মতোই চলাফেরা করছেন তারা। জুবায়ের ফকির নামের একজন বলেন, দেশে সর্বোচ্চ মৃত্যু হয়েছে শুনেছি। অথচ রাস্তাঘাট, হাটবাজার, চায়ের দোকানে জনগণের উপস্থিতি দেখলে মনে হবে দেশে করোনা নাই। এখনো মানুষ অসচেতনভাবে চলাফেরা করছেন। কাওরান বাজার ঘুরে দেখা যায়, প্রায় প্রতিটি দোকানে ক্রেতাদের ভিড়। কারো মুখে মাস্ক আছে। আবার কারো নেই। অনেকের থুতনিতে ঝুলছে মাস্ক। একসঙ্গে একাধিক ক্রেতা উপস্থিত হয়ে করছেন দর-দাম। সড়কের উপরে বসা দোকানগুলো ঘিরে রেখেছেন ক্রেতারা। স্বাস্থ্যবিধি প্রায় শূন্যের কোঠায়। কয়েকজন জানান, করোনা বেড়েছে শুনেছি। বাসার বাহিরে স্বাস্থ্যবিধি পুরোপুরি মেনে চলা সম্ভব হচ্ছে না। আমরা গরিব মানুষ, কাজকর্ম করেই খেতে হয়। একাধিক ক্রেতা বলেন, বাজারে সবকিছুর দাম বেশি। পাড়া-মহলার দোকানে নিম্ন আয়ের মানুষের পক্ষে কেনাকাটা করা সম্ভব হচ্ছে না। করোনার সংক্রমণের ভয় থাকলেও কম দামে কিনতে ভিড় ঠেলে বাজার করতে হচ্ছে। সরকার বাজারের নিত্যপণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণ করলে আমাদেরকে দূর-দূরান্ত থেকে জনসমাগমপূর্ণ স্থানে আসতে হতো না।
এদিকে, চায়ের দোকান ও হোটেলগুলোতে মানুষের উপস্থিতি আগের মতোই। প্রতিদিন একই চায়ের কাপে মুখ দিচ্ছেন শতশত মানুষ। আড্ডায় মেতে উঠছেন অনেকেই। খোশগল্প আর ধুমপান করতেও দেখা গেছে অনেককে। একটা সিগারেট একাধিক লোককে টানতে দেখা গেছে। হোটেলগুলোতেও একই প্লেটে খাবার খাচ্ছেন কাস্টমার। সরকারের চলমান বিধিনিষেধে হোটেলে বসে খাবার খেতে নিষেধ করলেও বেশিভাগ হোটেলে তা মান হচ্ছে না। একাধিক খাবার হোটেল কর্র্র্র্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, রাজধানীর কাওরান বাজারসহ বিভিন্ন এলাকায় যেসব কাস্টমার থাকে, তাদের নির্দিষ্ট কোনো বাসাবাড়ি নেই। ফুটপাথ ও এদিক সেদিক তারা থাকেন। তারা হোটেলে বসেই খেতে পছন্দ করেন। তাদের মধ্যে করোনা নিয়ে তেমন কোনো ভাবনাই নেই।

Facebook
Twitter
LinkedIn