সার্স ভাইরাসের নতুন ধরনের সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় বিমানবন্দরগুলোয় পরীক্ষা করার নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বিশেষ করে চীনসহ যেসব দেশে সংক্রমণ বেড়েছে, সেসব দেশ থেকে আসা যাত্রীদের অবশ্যই পরীক্ষা করতে হবে। গতকাল মঙ্গলবার মন্ত্রিপরিষদের বৈঠকে তিনি এ কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের মন্ত্রিপরিষদ সভাকক্ষে এই বৈঠক হয়। পরে বিকালে সচিবালয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব কবির বিন আনোয়ার।
সচিব জানান, সার্সের নতুন ধরনের সংক্রমণ ছড়িয়েছে এখন পর্যন্ত চীনসহ চারটি দেশে। বাংলাদেশে যাতে এটা ছড়াতে না পারে সেজন্য সর্বোচ্চ সতর্ক থাকার নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। মানুষকে মাস্ক পরানোসহ সামাজিক দূরত্ব যাতে মেনে চলে সেজন্য স্থানীয় প্রশাসনকে কাজ করার নির্দেশনা দিয়েছেন তিনি।
দেশে আরও দুটি পল্লী উন্নয়ন একাডেমি হচ্ছে। এর মধ্যে একটি হবে জামালপুরের মেলান্দহ উপজেলায়। আরেকটি রংপুরে। জামালপুরের একাডেমির নাম হবে শেখ হাসিনা পল্লী উন্নয়ন একাডেমি, জামালপুর। আর রংপুরেরটির নাম হবে শেখ রাসেল পল্লী উন্নয়ন একাডেমি, রংপুর।
মন্ত্রিসভার বৈঠকে এই দুটি একাডেমি করার জন্য আইনের খসড়া চূড়ান্তভাবে অনুমোদন দেয়া হয়েছে।
এর আগে গত এপ্রিলে এই দুটি আইনের খসড়া নীতিগত অনুমোদন দেয়া হয়েছিল। নতুন দুটি একাডেমি হলে দেশে মোট চারটি পল্লী উন্নয়ন একাডেমি হবে। বর্তমানে কুমিল্লায় বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন একাডেমি (বার্ড) এবং বগুড়ায় পল্লী উন্নয়ন একাডেমি (আরডিএ) রয়েছে। এছাড়া যশোরের আরেকটি পল্লী উন্নয়ন একাডেমি করার পরিকল্পনা আছে সরকারের।
আইনের খসড়া অনুযায়ী একাডেমি পরিচালনায় একটি বোর্ড থাকবে। ২১ সদস্যবিশিষ্ট বোর্ডের চেয়ারম্যান থাকবেন পদাধিকারবলে পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগের দায়িত্বে থাকা মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী বা উপমন্ত্রী। আর একাডেমির মহাপরিচালক হবেন যুগ্ম সচিব বা তার ওপরের পর্যায়ের কেউ।
গবেষণা ছাড়াও পল্লী উন্নয়ন বা সংশ্লিষ্ট কিছু বিষয়ে ডিপ্লোমাও করা যাবে এখানে। পোস্ট গ্র্যাজুয়েশন, সার্টিফিকেট কোর্সেরও সুযোগ থাকবে। এ ক্ষেত্রে এসব কোর্সের সনদগুলো বিদ্যমান নিয়মে অর্থাৎ বিভিন্ন শিক্ষা বোর্ড ও বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন দেয়া হবে। বাংলাদেশ ও লিবিয়ার মধ্যে সরকারি পর্যায়ে প্রবাসী কর্মী পাঠাতে একটি সমঝোতা স্মারক হতে যাচ্ছে। মন্ত্রিসভার বৈঠকে এটির খসড়া অনুমোদন দেয়া হয়েছে। শিগগির তাড়াতাড়ি এই সমঝোতা স্মারক সই হবে বলেন জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব। এছাড়া প্রতি বছর ৩০ ডিসেম্বরকে ‘জাতীয় প্রবাসী দিবস’ সরকারিভাবে পালনের প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।