২৬শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ / ১১ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ / ২৪শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি / সকাল ৮:১৫
২৬শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ / ১১ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ / ২৪শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি / সকাল ৮:১৫

বিমানবন্দরে করোনা পরীক্ষার ল্যাব স্থাপন, ট্রায়াল আজ

সংযুক্ত আরব আমিরাত প্রবাসীদের জন্য ঢাকার বিমানবন্দরে করোনা পরীক্ষার ল্যাব স্থাপনের কাজ শেষ হয়েছে। তাই শনিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) ল্যাবের ট্রায়াল অনুষ্ঠিত হবে। কোনও ত্রুটি না থাকলে ল্যাবগুলো ব্যবহারের জন্য উন্মুক্ত করা হবে।

বিমানবন্দরের স্বাস্থ্য বিভাগ জানিয়েছে, ল্যাবের অবকাঠামোর কাজ বৃহস্পতিবার রাতের মধ্যেই শেষ হয়েছে। শুক্রবার ৬টি প্রতিষ্ঠান যন্ত্রপাতি বসানোর কাজ সম্পন্ন করেছে। ল্যাবের গুণগত মান মনিটরিং করতে আইইডিসিআর’র সিনিয়র সায়েন্টিফিক অফিসার ডা. শারমিন সুলতানার নেতৃত্বে ৫ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করেছিল স্বাস্থ্য অধিদফতর। এ ছাড়া কার্যক্রম মনিটরিংয়ের জন্য গঠিত এই কমিটি আজ ল্যাব পরিদর্শন করবে। কমিটির সদস্যরা ল্যাবে কোনও ত্রুটি না পেলে সেটা ব্যবহারের জন্য উন্মুক্ত হবে। এরপর যেকোনও সময় বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ এয়ারলাইন্সগুলোর ফ্লাইট পরিচালনার অনুমতি দিতে পারবে।

প্রায় তিন মাস ফ্লাইটে নিষেধাজ্ঞার পর গেলো ৪ আগস্ট বাংলাদেশসহ ছয় দেশের যাত্রীদের ট্রানজিট সুবিধা চালু করে সংযুক্ত আরব আমিরাত। তবে দেশটিতে প্রবেশের জন্য শর্ত দেওয়া হয়, ফ্লাইট ছাড়ার ৬ ঘণ্টার মধ্যে বিমানবন্দরে র‌্যাপিড পিসিআর পদ্ধতিতে করোনা পরীক্ষা করে নেগেটিভ রিপোর্ট থাকতে হবে। এরপর প্রায় দেড় মাস ল্যাব স্থাপন নিয়ে নানা জটিলতা দেখা দেয়। বিমানবন্দরের পার্কিং ভবনের ছাদে ল্যাব স্থাপনের উদ্যোগ নেওয়া হলেও অনুমোদন পাওয়া প্রতিষ্ঠানগুলোর আপত্তি ছিল।

এই সংকট নিরসনে ২১ সেপ্টেম্বর প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থানমন্ত্রী ইমরান আহমদ, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক বিমানবন্দরে আসেন। তখন টার্মিনালের ভেতরে নতুন স্থান নির্ধারণ করে দ্রুত কাজ শুরুর নির্দেশ দেন তারা। টার্মিনাল ভবনের দ্বিতীয় তলার উত্তর পাশে যাত্রীদের করোনা পরীক্ষার স্যাম্পল নেওয়া হবে। আর নিচতলায় ল্যাবে হবে পরীক্ষা।

প্রসঙ্গত, ১৫ সেপ্টেম্বর সাতটি প্রতিষ্ঠানকে বিমানবন্দরে করোনা পরীক্ষার আরটি-পিসিআর ল্যাব বসাতে অনুমোদন দেয় প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়। এরমধ্যে জয়নুল হক সিকদার ওমেন্স মেডিক্যাল কলেজ অ্যান্ড হসপিটাল এই কাজ থেকে সরে আসে। বাকি প্রতিষ্ঠানগুলো হলো, স্টেমজ হেলথ কেয়ার (বিডি) লিমিটেড ঢাকা, সিএসবিএফ হেলথ সেন্টার, এএমজেড হাসপাতাল লিমিটেড, আনোয়ার খান মডার্ন মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল, গুলশান ক্লিনিক লিমিটেড ও ডিএমএফআর মলিকুলার ল্যাব অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক।

Facebook
Twitter
LinkedIn