২৭শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ / ১২ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ / ২৫শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি / রাত ৯:৩৮
২৭শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ / ১২ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ / ২৫শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি / রাত ৯:৩৮

বিশ্বকাপের ফাইনালে মুখোমুখি আর্জেন্টিনা-ফ্রান্স

বিশ্ব শ্রেষ্ঠত্বের মহারণে স্বপ্নের সোনালি ট্রফি নিজেদের করে নেওয়ার মিশনটা শুরু হয়েছিল ফিফা অন্তর্ভুক্ত ৩২টি দলকে নিয়ে। গ্রুপ পর্ব, শেষ ষোলো, কোয়ার্টার আর সেমিফাইনালের জমজমাট লড়াই শেষে এখন টিকে আছে কেবলমাত্র দুইটি দল। আগামী রোববার সোনালি সেই ট্রফি জয়ের যুদ্ধে মাঠে নামবে দুইবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়ন লিওনেল মেসির আর্জেন্টিনা ও ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন ফ্রান্স। কাতারের লুসাইল আইকনিক স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ সময় রাত ৯টায় মাঠে নামবে শিরোপা প্রত্যাশী এই দুই ফুটবল পরাশক্তি।

কাতার বিশ্বকাপের শিরোপা জয়ের লক্ষ্যে দুই দলের সামনেই সুযোগ থাকছে তৃতীয়বারের মতো ‘দ্য গ্রেটেস্ট শো অন আর্থ’ এর শিরোপা ঘরে তোলার। এর আগে প্রথম সেমিফাইনালে ক্রোয়েশিয়াকে হারিয়ে যোগ্য দল হিসেবে ফাইনাল নিশ্চিত করে আর্জেন্টিনা। অন্যদিকে গতরাতের ম্যাচে আফ্রিকার ‘ডার্ক হর্স’ খ্যাত দল মরক্কোকে হারিয়ে টানা দ্বিতীয়বারের মতো ফুটবল বিশ্বের সর্বোচ্চ এই আসরের ফাইনালে উঠেছে ফ্রান্স।

বিশ্বকাপের মঞ্চে এখন পর্যন্ত ফ্রান্স ও আর্জেন্টিনা মুখোমুখি হয়েছে তিন বার। যার দুইটিতে জয় আর্জেন্টিনার। বাকি একটি ম্যাচ জিতেছে ফরাসিরা। সেটাও গত রাশিয়া বিশ্বকাপের শেষ ষোলোর ম্যাচে। জমজমাট সেই লড়াইয়ে ৪-৩ গোলে হেরেছিল লিওনেল মেসির দল। আলবেসেলিস্তাদের হারিয়ে সেবারের আসরে শিরোপা জিতেছিল ফ্রান্স। তাই এবার সেই হারের প্রতিশোধ নেয়ার দারুণ সুযোগ স্ক্যালোনির দলের সামনে।

১৯৩০ সালের উরুগুয়ে বিশ্বকাপে এই দুই দলের প্রথম দেখা হয়। আর দ্বিতীয় দেখা ১৯৭৮ সালের আর্জেন্টিনা বিশ্বকাপে। দুই আসরেই লাতিন আমেরিকার দলটির কাছে হারের স্বাদ পেয়েছিল ফরাসিরা। এখন পর্যন্ত আন্তর্জাতিক ফুটবলে দুই দলের ১২ দেখায় আর্জেন্টিনা জিতেছে ৬টি ম্যাচ। ফ্রান্সের জয় ৩ ম্যাচে। বাকি ৩টি ম্যাচ ড্র হয়েছে।

কাতারে ২০ নভেম্বর থেকে শুরু হওয়া এবারের আসরে গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে তিউনিশিয়ার বিপক্ষে ধাক্কা খায় ফ্রান্স। ম্যাচটি তারা হেরে যায় ১-০ গোলের ব্যবধানে। অন্যদিকে আর্জেন্টিনা প্রথম ম্যাচেই হোঁচট খায় এশিয়ার পরাশক্তি সৌদি আরবের বিপক্ষে। সেই ম্যাচে ২-১ গোলে হেরেছিল মেসি-মার্টিনেসরা। এরপরের বাকি সব ম্যাচেই অপ্রতিরোধ্য এই দুই দল।

তবে শেষ পর্যন্ত মরুর বুকে কারা হাসবে শেষ হাসি, কাদের হাতে উঠবে বিশ্বকাপের তৃতীয় শিরোপার তকমা, তা দেখার জন্য গোটা ফুটবল বিশ্বকে অপেক্ষা করতে হবে ১৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত!

Facebook
Twitter
LinkedIn