বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের দাম এক শতাংশের বেশি কমেছে। গতকাল সোমবার সকালের দিকে
ব্রেন্ট ক্রুডের দাম ব্যারেলপ্রতি (এক ব্যারেল=১৫৯ লিটার) এক ডলার বা ১ দশমিক ১ শতাংশ কমে ৯২ দশমিক ৫০ ডলারে দাঁড়ায়। এদিন ইউএস ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমিডিয়েটের দাম ব্যারিলপ্রতি ১ দশমিক শূন্য ৩ ডলার বা ১ দশমিক ২ শতাংশ কমে ৮৪ দশমিক শূন্য ২ ডলারে দাঁড়ায়। খবর: ব্ল–মবার্গ।
বিশ্লেষকরা জানিয়েছেন, সেপ্টেম্বরে তেল আমদানিতে সাম্প্রতিক পুনরুদ্ধার হ্রাস পেয়েছে। কারণ কভিড-১৯-সম্পর্কিত লকডাউনের কারণে চাহিদা কমায় স্বাধীন শোধনাকারীরা বর্ধিত কোটা ব্যবহার করতে ব্যর্থ হয়েছে।
চীনের সরকারি তথ্য-উপাত্তে দেখা গেছে, গত জুনে চীনে উৎপাদন বাড়ে। কভিড-১৯ মহামারির কারণে নতুন করে লকডাউন ঘোষণা করায় জুলাইয়ে তা কমে যায়। চীনের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির অপ্রত্যাশিত ধীরগতির কারণে তখন দেশটিতে দৈনিক তেল পরিশোধনের পরিমাণ এক কোটি ২৫ লাখ ৩০ হাজার ব্যারেলে নেমে যায়, যা ২০২০ সালের মার্চের পর দেশটিতে দৈনিক সর্বনিন্ম তেল পরিশোধন।
চলতি বছরের শুরুতে জ্বালানি তেলের দাম বেড়ে প্রতি ব্যারেল ১২০ ডলারের বেশি উঠেছিল। কভিড-১৯ মহামারির প্রকোপ কেটে অর্থনৈতিক কার্যক্রম স্বাভাবিক হতে থাকলে চাহিদা বেড়ে যাওয়া এবং ইউক্রেন যুদ্ধের জন্য বিশ্বের অন্যতম তেল রপ্তানিকারী দেশ রাশিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞায় সরবরাহ ঘাটতিতে দাম বেড়েছিল।
তবে গত কয়েক সপ্তাহ ধরে জ্বালানির দাম নি¤œমুখী। গত ২৪ ফেব্রুয়ারি যুদ্ধ শুরু হলে মন্দাভাব শুরু হয় জ্বালানি তেলের বাজারে।
জ্বালানি তেলের আন্তর্জাতিক বাজার পর্যবেক্ষণকারী বিভিন্ন সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, গত আগস্টের মাঝামাঝি পর্যন্ত গত ছয় মাসে বিশ্ববাজারে ব্রেন্ট ক্রুড তেলের দাম কমেছে ১৩ দশমিক ৭ শতাংশ ও ডব্লিউটিআইয়ের দাম কমেছে ৯ দশমিক ৭ শতাংশ। এরপরও এ ধারা অব্যাহত রয়েছে।