বিশ্ববাজারে অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের দাম কমেছে। রাশিয়ার সামরিক হামলার পর বৈশ্বিক অর্থনৈতিক মন্দার কারণে চাহিদা কমছে বলে বেশ কিছুদিন ধরে নিম্নমুখী তেলের দাম। যে কারণে বৃহস্পতিবার রাতে ব্রেন্ট ক্রুড প্রতি ব্যারেল ৯৩ দশমিক ৮১ ডলারে নেমে আসে। তবে শুক্রবার (৫ আগস্ট) কিছুটা বেড়ে ৯৪ দশমিক ৪০ ডলার হলেও ছয় মাসের মধ্যে এটি সর্বনিম্ন পর্যায়ে। খবর: ইকোনমিক টাইমস।
বিশ্ববাজারে অপরিশোধিত তেল ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমিডিয়েট প্রতি ব্যারেল তেল ৮৯ ডলারে বিক্রি হচ্ছে। যা আগের সপ্তাহের তুলনায় ৮ শতাংশ কম। ৩ ফেব্রুয়ারির পর থেকে সর্বনিম্ন। বৃহস্পতিবার রাতে ব্রেন্ট ক্রুডের দাম ব্যারেলপ্রতি ২ দশমিক ৭৫ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছিল ৯৩ দশমিক ৮১ ডলার। যা কিনা গত ২১ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলার পর থেকে সর্বনিম্ন।
সংশ্লিষ্ট মহল বলছে, অপরিশোধিত তেলের দাম বাড়লে পেট্রল-ডিজেল যত তাড়াতাড়ি দামি হয়, উল্টোটা হলে দাম তত দ্রুত কমে না। তার ওপর দাম কমার ধারা কত দিন বহাল থাকবে, তা নিয়েও সংশয় আছে। কারণ, মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন মূল্যবৃদ্ধিতে লাগাম পরাতে তেল রফতানিকারী দেশগুলোর গোষ্ঠী ওপেককে জোগান বাড়াতে বলেছিলেন। কিন্তু বাস্তবে হয়েছে উল্টোটা। রাশিয়াসহ বৃহত্তর ওপেক গোষ্ঠী জুলাই-আগস্ট থেকে সেপ্টেম্বরে জোগান বৃদ্ধির হার তেমন একটা বৃদ্ধি না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
ব্লুমবার্গের বিভিন্ন রিপোর্ট অনুযায়ী, গত এপ্রিলের প্রথম সপ্তাহের পর আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম এবারই সর্বনিম্ন।
এসবের পেছনে বৈশ্বিক মহামারি করোনাপরবর্তী অর্থনৈতিক মন্দা, রাশিয়ার ইউক্রেন হামলার ঘটনায় ইউরোপে তেল-গ্যাসের চাহিদা কমে যাওয়া, এছাড়া মার্কিন গ্যাসোলিনের ব্যবহার কমে যাওয়া, লিবিয়া থেকে তেলের সরবরাহ বৃদ্ধি ইত্যাদি কারণ দায়ী।
ইতোমধ্যে লন্ডনভিত্তিক ফোরেক্স কোম্পানি ওয়ান্দার সিনিয়র বাজার বিশ্লেষক ক্রেগ এরলাম বলেছেন, ব্যারেলপ্রতি তেলের দাম ৯০ ডলারের নিচে নামার সম্ভাবনা রয়েছে।