২৬শে জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ / ১২ই মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ / ২৬শে রজব, ১৪৪৬ হিজরি / দুপুর ১:৫৪

বুস্টার ডোজে সবাইকে ফাইজারের টিকা দেওয়া হবে

বুস্টার ডোজ হিসেবে সবাইকে ফাইজারের টিকা দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। তিনি বলেছেন, আমরা অ্যাস্ট্রাজেনেকা, সিনোফার্ম, মডার্নাসহ বেশ কয়েকটি ভ্যাকসিন দিয়েছি। কিন্তু বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) প্রোটোকল অনুযায়ী এক্ষেত্রে সবাইকে ফাইজারের টিকা দেওয়া হবে। 

রাজধানীর মহাখালীতে বাংলাদেশ কলেজ অফ ফিজিশিয়ানস অ্যান্ড সার্জনস (বিসিপিএসএ) অডিটরিয়ামে রোববার দুপুরে টিকার বুস্টার ডোজ কার্যক্রমের উদ্বোধনের পর স্বাস্থ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন। 

তিনি বলেন, অ্যাপসের কাজ শেষ হলে মোবাইল ফোনে এসএমসের মাধ্যমে যে যে কেন্দ্রে টিকা নিয়েছেন, সে কেন্দ্রেই বুস্টার যাতে নিতে পারেন সেই কাজ চলছে। 
‘বুস্টার ডোজ সংক্রান্ত সুরক্ষা অ্যাপের আপডেট কাজ এখনও সম্পন্ন হয়নি। তবে এই মুহূর্তে টিকা কার্ডের মাধ্যমে চলবে’।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, স্বাভাবিক টিকা কার্যক্রমের পাশাপাশি বুস্টার কার্যক্রম চলমান থাকবে।

তিনি বলেন, বুস্টার ডোজের কার্যক্রম শুরু করতে পারছি। এর আগে আমরা অনেক দেশের আগেই দেশে টিকা কার্যক্রমের শুরু করতে পেরেছি। ডাক্তার, নার্সসহ ফ্রন্টলাইনারদের টিকা দিতে পেরেছি। 

জাহিদ মালেক বলেন, টিকার ফলে দেশ নিরাপদে আছে। মৃত্যুর সংখ্যা এক ডিজিটেই আছে। গতকাল এক শতাংশের দিকে এসেছে। যা এত জনবহুল দেশে খুবই বিরল। সবাই সহযোগিতা করে যাচ্ছে। প্রতিটি মানুষকেই যারা প্রাপ্য টিকা দেওয়া হবে।

দেশে প্রথম কোভিড-১৯ টিকা নেওয়া কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালের সিনিয়র নার্স রুনু ভেরোনিকা কস্তাকে দিয়ে বুস্টার ডোজের টিকাদান কার্যক্রম শুরু হলো।

এরপর ষাটোর্ধ্ব শতাধিক ব্যক্তিকে এই ডোজ দেয়া হয়। এর মধ্যে ছিলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন, আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম এবং স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আবুল বাশার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম।

বুস্টার ডোজ নেওয়া সবাই করোনা মোকাবিলায় সম্মুখসারির যোদ্ধা চিকিৎসক, নার্স, সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী ও গণমাধ্যমকর্মী।

সরকার থেকে বলা হয়েছে, পর্যায়ক্রমে বুস্টার ডোজের আওতা বাড়ানো হবে। শুরুতেই এই ডোজ দেয়া হবে যারা বেশি ঝুঁকিতে আছেন তাদের। অর্থাৎ বয়স্কদের।  

Facebook
Twitter
LinkedIn