রাজধানীর এভার কেয়ার হসপিটালে চিকিৎসাধীন বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার কিছু হলে তার দায় সরকারকে নিতে হবে বলে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান।
নারী ও শিশু অধিকার ফোরামের সদস্য সচিব ও বিএনপি নেত্রী অ্যাডভোকেট নিপুণ রায়কে গত তিন মাস ধরে অন্যায়ভাবে কারাগারে আটকে রেখে তার ছোট্ট মেয়ের কাছ থেকে বিচ্ছিন্ন করে রাখা বিশাল অমানবিক রাজনীতি বলেও মন্তব্য করেছেন নজরুল ইসলাম খান।
মঙ্গলবার (১৫ জুন) দুপুরে রাজধানীর নয়া পল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে অনুষ্ঠিত এক সমাবেশে অংশ নিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
বাংলাদেশ নারী ও শিশু অধিকার ফোরামের উদ্যোগে সংগঠনটির সদস্য সচিব নিপুণ রায় চৌধুরীর মুক্তির দাবিতে এই প্রতিবাদ সমাবেশে অনুষ্ঠিত হয়।
নজরুল ইসলাম বলেন, আমাদের দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া তিন তিন বারের প্রধানমন্ত্রী। তাকে কেউ প্রধানমন্ত্রী বানিয়ে দেয়নি। এদেশের লক্ষ-কোটি মানুষের ভালোবাসায় সিক্ত হয়ে কোটি কোটি ভোটের ব্যবধানে তিনি প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হয়েছিলেন। আজকে সেই প্রধানমন্ত্রী অন্ধকার প্রকোষ্ঠে ধুঁকে ধুঁকে মরছেন। তার সুচিকিৎসা হচ্ছে না।
তিনি আরও বলেন, আমরা তার চিকিৎসার কথা বলেছি, বিদেশে নেয়ার কথা বলেছি। আমরা অনুরোধ করেছি। কিন্তু চোর না শুনে ধর্মের কাহিনী। দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে তারা চিকিৎসা করতে দেবে না। আমরা আজকেও এ সভা থেকে বলতে চাই যে, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিন, আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে দেশে আসার সুযোগ দিন এবং নিপুণ রায় চৌধুরীকে মুক্তি দিন।
নজরুল ইসলাম খান বলেন, `আমরা জানি যে, নিপুণ রায় চৌধুরীর একটা ছোট মেয়ে আছে। সেই মেয়ের কাছ থেকে তার মাকে দীর্ঘদিন বিচ্ছিন্ন করে রাখা-এটা খুব বিশাল অমানবিক রাজনীতি। তাকে অন্যায়ভাবে আটক করে রাখা হয়েছে। আমি শুধু এইটুকু বলতে চাই, নিপুণ রায় চৌধুরীর মতো নেত্রীদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, অসংখ্য নেতা-কর্মী গুম করা হয়েছে, এসব করার পরেও শহীদ জিয়ার আর্দশের সৈনিকেরা, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার কর্মীরা, তারেক রহমানের ভাই এবং বোনেরা ভয় পায় নাই, ভয় পায় না। বিএনপি ভাঙেও নাই, বিএনপির দুর্বলও হয় নাই। কাজেই নিপুণ রায়কে গ্রেপ্তার করে রেখে বিএনপিকে ক্ষতিগ্রস্ত করা যাবে-এটা ভাবার কোনো কারণ নাই।
তিনি বলেন, নিপুণ রায়ের প্রতি যে অন্যায় সরকার করেছে আমরা তার প্রতিকার চাই। আমি চাই যে, তাকে অবিলম্বে মুক্তি দেয়া হোক। সরকার তার রাজনৈতিক স্বার্থে না হয় অপরাধ করেছে। আমরা আশা করবো, আদালত পবিত্র স্থান। সেখানে অন্তত সে সুবিচার পাবে।
নারী-শিশু অধিকার ফোরামের সিনিয়র সদস্য ও বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর সরফত আলী সপুর সভাপতিত্বে ও আবু নাসের মোহাম্মদ রহমতুল্লাহর সঞ্চালনায় সমাবেশে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, যুগ্ম-মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, হাবিব-উন-নবী খান সোহেল, স্বনির্ভর বিষয়ক সম্পাদক শিরিন সুলতানা, তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক আজিজুল বারী হেলাল, মহিলা দলের সভাপতি আফরোজা আব্বাস, বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সালাম আজাদ, ঢাকা জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক খন্দকার আবু আশফাক, স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কাদির ভূঁইয়া জুয়েল, সহ-সভাপতি আওলাদ হোসেন উজ্জ্বল, স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা.জাহিদুল কবির, মহিলা দল নেত্রী বিলকিস ইসলাম, ফরিদা ইয়াসমিন, আরিফা সুলতানা রুমা, মুন্সিগঞ্জ জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সহ-সভাপতি কে এম রাজিব, সামসুল ইসলাম, দ্বিন ইসলাম বেপারী, যুবদলের মতি শেখ, রনি প্রমুখ।