দেশে মার্কিন ডলার আসার প্রধান দুই উৎস-রপ্তানি আয় ও প্রবাসী আয়-দুটোই মে মাসে কিছুটা বেড়েছে।রপ্তানি আয়ে টানা দুই মাস মন্দার পর মে মাসে কিছুটা স্বস্তি ফিরেছে। রপ্তানি হয়েছে ৪৮৪কোটি ডলারের পণ্য। মাস শেষে বৈদেশিক আয় ১ কোটি ডলার বেড়ে এসেছে ১৬৯ কোটি ১৬ লাখ ডলার।
বৈদেশিক মুদ্রার আয়ে চলতি বছরের শুরুটা ভালোই হয়েছিল। ফেব্রুয়ারিতে কিছুটা কমে যায়। তবে মার্চ মাসে প্রবাসী আয় ও রপ্তানি আয় ছিল বেশ ভালো। কিন্তু এপ্রিলে এসে দুটোতেই ভাটা। ফের মে মাসে দুই আয়েই ঊর্ধ্বমুখি ধারা দেখা যায়।
মার্চে রপ্তানিআয় হয়েছিল প্রায় ৪৬৪ কোটি মার্কিন ডলার। আর এপ্রিলে তা কমে৩৯৫ কোটি ৬০ লাখ ডলারে নামে। তবে মে মাসে ৮৮ কোটি ডলার বেড়ে রপ্তানি হয়েছে ৪৮৪ কোটি ডলার। যা আগের অর্থবছরের একইসময়ে ছিল ৩৮৩ কোটি ডলার।
রপ্তানি আয় বাড়াতে পণ্য বহুমুখীকরণ ও নতুন নতুন বাজার খোঁজার তাগিদ দিয়েছেন অর্থনীতিবিদ মাহফুজ কবীর।
এদিকে, এপ্রিল মাসে প্রবাসী আয়ও ১ কোটি মার্কিন ডলার বেড়েছে।সদ্য গত মাসে মোট ১৬৯ কোটি ১৬ লাখ মার্কিন ডলার দেশে এসেছে। চলতি অর্থবছরের প্রথম দুই মাসে দুই’শ কোটি ডলার করে দেশে বৈদেশিক আয় এসেছিল। এরপর টানা ছয় মাসেও দুই বিলিয়ন ডলারের মাইলফলকে পৌঁছাতে পারেনি। গেলো মার্চেপ্রবাসী আয় দুই বিলিয়ন ডলারঅতিক্রম করলেও এপ্রিল ও মে মাসে দুই বিলিয়ন ডলারের নিচে।
প্রবাসী আয় বাড়াতে দেশের বাজারে বিভিন্ন পর্যায়ে ডলারের দামের ব্যবধান কমিয়ে আনাসহ অর্থ পাঠানো আরো সহজ করার পরামর্শ দিয়েছেন মাহফুজ কবীর।
বৈদেশিক আয় বাড়াতে সরকারকে সময়উপযোগী পদক্ষেপ নেয়ার পাশাপাশি তা দ্রুত বাস্তবায়নের তাাগিদ দেন তিনি।