গত ৫ই আগষ্ট বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে ছাত্র জনতার গণ-অভ্যুত্থানে স্বৈরাচারী ফ্যাসিষ্ট আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর দেশের সরকারী ও বেসরকারী প্রতিষ্ঠান এবং প্রত্যেক এলাকার দখল ও ক্ষমতার পট-পরিবর্তনের ফলে এলাকার নিয়ন্ত্রন নেয় স্থানীয় বিএনপির নেতা-কর্মীরা।
বৈষম্য বিরোধী ছাত্র জনতার আন্দোলনে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতারা নিজেদের বোল পাল্টিয়ে বিএনপি ও জামাতের সাথে সম্পৃক্ততা লক্ষ্যনীয়। দেশের বিভিন্ন সরকারী ও বেসরকারী প্রতিষ্ঠানগুলো দখল, চাদাঁবাজী, ধান্দাবাজী এবং এলাকার নিয়ন্ত্রনের বিরুদ্ধে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের দিক নির্দেশনাকে বৃদ্ধা-আংঙ্গুল দেখিয়ে চলছে স্থানীয় নেতাকর্মীরা।
রাজধানীর মতিঝিল ১০নং ওয়ার্ডে বিএনপির শীর্ষ নেতার ছত্রছায়ায় চলছে দখলবাজী, চাঁদাবাজী সহ এলাকার নিয়ন্ত্রন, মাদক বিক্রির রমরমা ব্যবসা। টিএন্ডটি ও পোষ্টার কলোনীর ডিস এবং ইন্টারনেট ব্যবসা, সরকারী বাসা দখল, মাদক ব্যবসার নিয়ন্ত্রন স্থানীয় নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
সূত্রে জানা যায়, বিএনপির নেতা কর্মীরা টিএন্ডটি কলোনীর বিটিসিএল এর সরকারী বাসাগুলো দখল নিয়ে বহিরাগতদের কাছে ১৫-২০ হাজার টাকায় বাসা ভাড়া দিচ্ছে। তাদের অধিনে ২০টি সরকারী বাসা দখল রয়েছে বলে জানায় দায়িত্বরত সিআই।
টিএন্ডটি কলোনীর বাস কাউন্টার ফুটপাত ভ্রাম্যমান হোটেল, দোকান, লতিফের পাবলিক টয়লেট থেকে প্রতিদিন ২০০ -৫০০ টাকা চাদাঁ নেয়ার অভিযোগ রয়েছে।
বিটিসিএল কলোনীর ১৯,২০,২১ নাম্বার বিল্ডিং এর বাসাগুলো কর্তৃপক্ষ বসবাসের অযোগ্য বলে পরিতাক্ত ঘোষনা করে। কিন্তু বিটিসিএল এর উদাসীনতা ও দায়িত্বহীনতার জন্যে এই বিল্ডিংগুলোতে সারাদিন মাদক ব্যবসায়ীদের রমরমা ব্যবসায় পরিনত হয়েছে এবং এটা এখন মাদক সেবীদের অভয় অরন্য।
সূত্রে আরোও জানা যায়, মতিঝিল ১০নং ওয়ার্ডে পোষ্টাল কলোনীর পোষ্টাল ইউনিটের বিএনপির নেতা-কর্মিরা এলাকার ডিস ও ইন্টারনেট ব্যবসা দখল করে নিয়েছে। পোষ্টাল কলোনীর প্রজেক্টের তিনরুম বিশিষ্ট একটি অবৈধ স্থাপনা দখল নিয়ে পোষ্টাল কলোনী বিএনপির ইউনিট অফিস নাম দিয়ে চলছে অনৈতিক কার্য্যকলাপ। এতে করে এলাকার পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে।
অভিযোগ পাওয়া যায়, বিএনপির ১০নং ওয়ার্ডে শীর্ষ নেতার ছত্রছায়ায় এজিবি কলোনী বাইতুল মামুর মসজিদ মার্কেটের দোকান ও রাস্তার দুইপাশে ফুটপাত দখল, কলোনীর ডিস ও ইন্টারনেট, মাদক ব্যবসার নিয়ন্ত্রন নিয়ে র্শীষ নেতা ও ভাইয়ের ইশারায় অপকর্মের নের্তৃত্ব দিচ্ছেন গোপাল দাস ও মুকুল বাহিনী।
ফুটপাতের সাধারন দোকানীরা বলেন, গোপাল দাস ও মুকুল বাহিনী এলাকা ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করছে। মসজিদ মার্কেটের রাস্তার দুই পাশে ফুটপাত দখল নিয়ে প্রতিটি দোকান থেকে বিশ থেকে ত্রিশ হাজার টাকা এককালীন বাবদ দিয়ে দোকান বসিয়েছেন। মিনুর চায়ের দোকান থেকে গোপাল দাস ৪০ হাজার টাকা চাদাঁ দাবী করে। টাকা দিতে অস্বিকার করায় তার চায়ের দোকান ফুটপাত থেকে উঠিয়ে দিয়ে হিন্দুপাড়া নিয়ে যায় গোপাল বাহিনী।
রাইহান-টি স্টোর, কবিরের বার্গার দোকান, স্যুপ বিক্রেতা মোল্লা বলেন, প্রতিদিন গোপাল বাহিনী চোরাই বিদ্যুৎ বাবদ ৫০ থেকে ১০০ টাকা চাদাঁ নেয়। এই বাহিনীর দোসর ফুটপাত দোকানীদের ভয়ভীতি ও মারধর দিয়ে মোটা অংকের চাদাঁ আদায় করছে। কেউ চাদাঁ দিতে অস্বিকার করলে তাদের উপর নেমে আসে এই বাহিনী অসহনীয় অত্যাচার।
মতিঝিল এজিবি কলোনী পাশে সংখ্যালঘু আবাসস্থল হিন্দু পাড়া সেখানে গোপাল বাহিনী একনিষ্ঠ কর্মি মাদক ব্যবসায়ী সুজনকে দিয়ে চালিয়ে যাচ্ছেন ইয়াবার ব্যবসা। বিএনপির ১০নং ওয়াডের আহবায়ক ও সদস্য সচিবের ইশারায় এজিবি কলোনী মসজিদ মার্কেটে রাস্তার দুইপাশে পাকিং রাখা প্রতিটি বাস থেকে মাসিক পাঁচ হাজার করে চাদাঁ নেয় মুকুল বাহিনী।
মতিঝিল এজিবি কলোনী (হাসপাতাল জোন) ঈদগাঁ মাঠে স্থানীয় নেতার ছত্রছায়ায় চলে মাদক সেবন ও কেনা বেচার হাট। টিএন্ডটি কলোনী পেট্রোল পাম্প ও এজিবি কলোনী (আল হেলাল জোন) রাস্তার সংলগ্নে ফুটপাতে বসে থাকা নার্সারী থেকে স্থানীয় বিএনপি নেতা চাচা তার ভাতিজা কে দিয়ে প্রতিদিন একশত থেকে দুইশত টাকা চাদাঁ তোলেন।
অভিযোগে আরোও পাওয়া যায়, মতিঝিল ১০ নং ওয়ার্ডে ডিস, ইন্টারনেট, ফুটপাত, মার্কেট, বাজার, বাস পার্কিং, নাসারী, কাউন্টার, মাদক নিয়ন্ত্রন সরকারী বাসা দখল, চাদাঁবাজী ও ধান্দাবাজীর, দক্ষিণ সিটি কর্পোরেনের ময়লা ও গাড়ি পার্কিং সরকারী বিদ্যুৎ চুরি সহ নানা অপরাধের একছত্র অধিপত্য বিস্তার করে রয়েছেন বিএনপির শ্রমিক দলের ঢাকা মহানগর (দক্ষিণ) এর সদস্য সচিব মুন্সি বদরুল আলম সবুজ।
সূত্রে জানা যায়, এজিবি কলোনী কাচাঁ বাজার স্থানীয় বিএনপি শীর্ষ নেতার ইশারায় বাজারের দোকানী মাহফুজ, স্বপন, হালিম কে দিয়ে বাজার দেখভাল করার জন্য ১০ সদস্যের একটি কামিটি করা হয়েছে। বাজারের প্রতিদিন চাদাঁ, বাজার কমিটি বাজারের উন্নয়ন স্বার্থে ব্যয় হয় বলে জানায় বর্তমান কমিটি।
অভিযোগ পাওয়া যায়, এজিবি কলোনী (আইডিয়াল জোন) রাস্তার দুইপাশে ২০০টি বেশী দোকান রয়েছে। প্রতিদিন প্রত্যেক দোকানর থেকে ১৫০ থেকে ৬০০ টাকা করে চাদাঁ তুলছেন মোল্লা মাসুম ও সোহেল বাহিনী। প্রতি শুক্রবার হলিডে মার্কেট থেকে স্থানীয় প্রশাসনের উছিলায় ২০০ থেকে ৬০০ টাকা করে ৩০০ দোকান থেকে চাদাঁ নিচ্ছেন এই বাহিনী।
সুত্র জিনিউজ বিডি