বিশ্বে চলমান করোনায় দৈনিক মৃত্যুর সংখ্যা আবার বেড়েছে। তবে আগের দিনের তুলনায় কমেছে নতুন শনাক্ত রোগীর সংখ্যা। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে বিশ্বে মারা গেছে প্রায় হাজারখানেক মানুষ। একই সময়ে ভাইরাসটিতে নতুন করে আক্রান্তের সংখ্যা নেমে এসেছে সাড়ে চার লাখে।
মঙ্গলবার (২৪শে মে) সকালে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত, মৃত্যু ও সুস্থতার হিসাব রাখা ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটারস থেকে পাওয়া সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় সারা বিশ্বে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৯৪৪ জন। অর্থাৎ আগের দিনের তুলনায় মৃত্যুর সংখ্যা বেড়েছে প্রায় পৌনে পাঁচশো। এতে বিশ্বজুড়ে মৃতের সংখ্যা পৌঁছেছে ৬৩ লাখ এক হাজার ৪৪৪ জনে।
একই সময়ের মধ্যে ভাইরাসটিতে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ৪ লাখ ৫২ হাজার ৪৫৬ জন। অর্থাৎ আগের দিনের তুলনায় নতুন শনাক্ত রোগীর সংখ্যা কমেছে প্রায় ২৩ হাজার। এতে অতিমারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত ভাইরাসে আক্রান্ত মোট রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫২ কোটি ৮০ লাখ ৩৫ হাজার ১৫ জনে।
এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় বিশ্বে করোনায় সবচেয়ে বেশি সংক্রমণের ঘটনা ঘটেছে উত্তর কোরিয়ায়। এই সময়ের মধ্যে দেশটিতে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ১ লাখ ৬৭ হাজার ৬৫০ জন এবং মারা গেছেন ১ জন। পূর্ব এশিয়ার এই দেশটিতে এখন পর্যন্ত ২৮ লাখ ১৪ হাজার ৩৮০ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন এবং ৬৮ জন মারা গেছেন।
অন্যদিকে, দৈনিক প্রাণহানির তালিকায় শীর্ষে উঠে এসেছে অস্ট্রিয়া। গত ২৪ ঘণ্টায় এই দেশটিতে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ২৫২ জন এবং নতুন করে ভাইরাসে সংক্রমিত হয়েছেন ১ হাজার ৭৫৩ জন। এছাড়া অতিমারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত দেশটিতে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ৪২ লাখ ৩৫ হাজার ১৮৩ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ১৮ হাজার ৫৯৯ জনের।
গত ২৪ ঘণ্টায় যুক্তরাষ্ট্রে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৫১ হাজার ৩৮৩ জন এবং মারা গেছেন ১০৬ জন। করোনাভাইরাসে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত এই দেশটিতে এখন পর্যন্ত ৮ কোটি ৫১ লাখ ৬ হাজার ৫৭৭ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন এবং ১০ লাখ ২৯ হাজার ১১২ জন মারা গেছেন।
রাশিয়া গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৭৬ জন এবং নতুন করে ভাইরাসে সংক্রমিত হয়েছেন ৪ হাজার ১৫৮ জন। এ পর্যন্ত দেশটিতে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ১ কোটি ৮২ লাখ ৯৭ হাজার ৬০৮ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ৩ লাখ ৭৮ হাজার ৪২৬ জনের।
জার্মানিতে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ১৮ হাজার ১১ জন এবং মারা গেছেন ২৬ জন। ইউরোপের এই দেশটিতে এখন পর্যন্ত ২ কোটি ৬১ লাখ ৩ হাজার ৬২৮ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন এবং ১ লাখ ৩৮ হাজার ৭৩৮ জন মারা গেছেন। একইসময়ে তাইওয়ানে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৬৬ হাজার ২৮৩ জন এবং মারা গেছেন ৪০ জন।
ফ্রান্সে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৪ হাজার ৩৮৬ জন এবং মারা গেছেন ৮২ জন। দেশটিতে এখন পর্যন্ত ২ কোটি ৯৩ লাখ ৫৯ হাজার ৩৩৬ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন এবং ১ লাখ ৪৭ হাজার ৯১৭ জন মারা গেছেন। একইসময়ে দক্ষিণ আফ্রিকায় নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ১ হাজার ৬৬২ জন এবং মারা গেছেন ১৯ জন।
গত ২৪ ঘণ্টায় দক্ষিণ কোরিয়ায় নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৯ হাজার ৯৭৫ জন এবং মারা গেছেন ২২ জন। পূর্ব এশিয়ার এই দেশটিতে এখন পর্যন্ত ১ কোটি ৭৯ লাখ ৬৭ হাজার ৬৭২ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন এবং ২৩ হাজার ৯৮৭ জন মারা গেছেন। একইসময়ে থাইল্যান্ডে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৪ হাজার ৯৯ জন এবং মারা গেছেন ২৯ জন।
ইতালিতে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৯ হাজার ৮২০ জন এবং মারা গেছেন ৮০ জন। শুরু থেকে ইউরোপের এই দেশটিতে এখন পর্যন্ত ১ কোটি ৭২ লাখ ৫৭ হাজার ৫৭৩ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন এবং ১ লাখ ৬৬ হাজার ৩২ জন মারা গেছেন। একইসময়ে জাপানে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৩১ হাজার ২৬২ জন এবং মারা গেছেন ১৫ জন।
লাতিন আমেরিকার দেশ ব্রাজিল করোনায় আক্রান্তের দিক থেকে তৃতীয় ও মৃত্যু সংখ্যায় তালিকার দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৪৭ জন এবং নতুন করে সংক্রমিত হয়েছেন ১২ হাজার ৭৭৫ জন। অপরদিকে অতিমারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত দেশটিতে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ৩ কোটি ৮ লাখ ৩ হাজার ৯৯৫ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ৬ লাখ ৬৫ হাজার ৭২৭ জনের।
করোনায় আক্রান্তের তালিকায় দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে প্রতিবেশী দেশ ভারত। তবে ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যার তালিকায় দেশটির অবস্থান তৃতীয়। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে নতুন করে করোনায় সংক্রমিত হয়েছেন ১ হাজার ১০৬ জন। শুরু থেকে দেশটিতে এখন পর্যন্ত মোট আক্রান্ত হয়েছেন ৪ কোটি ৩১ লাখ ৩৯ হাজার ৪৯৯ জন এবং মারা গেছেন ৫ লাখ ২৪ হাজার ৪৫৯ জন।
এছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় অস্ট্রেলিয়ায় নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৩৪ হাজার ৩৬ জন এবং মারা গেছেন ১২ জন। একই সময়ে চিলিতে নতুন করে ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হয়েছেন ৪ হাজার ২২৫ জন এবং মারা গেছেন ৮ জন। গ্রিসে নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ২ হাজার ২৩৫ জন এবং মারা গেছেন ২১ জন।