করোনার দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবেলায় সরকারির পাশাপাশি বেসরকারি হাসপাতালগুলোকে প্রস্তুত রাখতে অনুরোধ জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। তিনি বলেন, অসচেতনতায় দেশে যে কোনো সময় করোনা সংক্রমণ বাড়তে পারে। তাই সরকারির পাশাপাশি বেসরকারি হাসপাতালে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্র (আইসিইউ) ও করোনা রোগীদের বরাদ্দ শয্যা দ্বিগুণ করতে হবে।
রাজধানীর একটি হোটেলে রোববার বিকালে ‘করোনার দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবেলা ও ভ্যাকসিনবিষয়ক’ আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ অনুরোধ জানান। বেসরকারি প্রাইভেট মেডিকেল কলেজ অ্যাসোসিয়েশন-বিপিএমসিএ এ সভার আয়োজন করে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার অনুমোদিত যে কোনো ভ্যাকসিন বাজারে এলে আমরা প্রথম ধাপে পাব। সরকারি হাসপাতালে যদি টিকা দেয়া হয়, তাহলে প্রাইভেট হাসপাতালে টিকা দেয়ার ব্যবস্থা করা হবে।
জাহিদ মালেক বলেন, দ্বিতীয় সংক্রমণের আশঙ্কা করা হচ্ছে, তার প্রধান কারণ আমরা স্বাস্থ্যবিধি মানছি না, বেপরোয়া চলাফেরা করছি। আমরা মাস্ক পরছি না। আমাদের আত্মবিশ্বাস বেড়ে গেছে। শীতকালে সারা দেশে বিভিন্ন রকম সামাজিক অনুষ্ঠান হয়। কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতে লাখ লাখ মানুষ ঘুরে বেড়াচ্ছে। সেখান থেকেও সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ছে।
বেসরকারি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের উদ্দেশে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, আপনারা যেভাবে প্রথম সংক্রমণ মোকাবেলা করেছেন। একইসঙ্গে কোভিড, নন-কোভিড ও ডেঙ্গু রোগী চিকিৎসা দিয়ে যাচ্ছেন। ঠিক একইভাবে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবেলায় কাজ করবেন। একই সঙ্গে কোভিড, নন-কোভিড ও ডেঙ্গু রোগীর চিকিৎসা দেয়ার জন্য প্রস্তুত রাখতে হবে। এখন থেকেই সেই প্রস্তুতি নিতে হবে।
সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক এবিএম খুরশীদ আলম বলেন, পৃথিবীতে যদি ভ্যাকসিন আবিষ্কার হয়। তাহলে বাংলাদেশের মানুষও তা পাবেন, তবে সময় লাগবে। বেসরকারি মেডিকেল হাসপাতালগুলোর উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, দেশে করোনার সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য পিসিআর পরীক্ষার সংখ্যা বাড়াতে পরীক্ষার ফি কমানোর জন্য অনুরোধ জানান তিনি।
এ সময় আরও বক্তব্য দেন- মন্ত্রণালয়ের চিকিৎসা শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের সচিব মো. আলী নুর, বাংলাদেশ প্রাইভেট মেডিকেল কলেজ অ্যাসোসিয়েশনের (বিপিএমসিএ) সভাপতি এমএ মবিন খান, সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক ডা. আনোয়ার হোসেন খান ও বিপিএমসি’র প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ডা. মো. মোয়াজ্জেম হোসেন।