২৫শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ / ১০ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ / ২৩শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি / রাত ৪:৫০
২৫শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ / ১০ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ / ২৩শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি / রাত ৪:৫০

ভারতকে চুরমার করে শিরোপা পাকিস্তানের

গ্রুপ পর্বে এই ভারতের কাছেই ৮ উইকেটে হেরে গিয়েছিল পাকিস্তান। কিন্তু ইমার্জিং এশিয়া কাপের ফাইনালে আজ কলম্বোতে সে হারের জ্বালা পাকিস্তান ফিরিয়ে দিল পুরোপুরি। ১২৮ রানে ভারতকে হারিয়ে ইমার্জিং এশিয়া কাপের শিরোপা জিতেছে ‘পাকিস্তান শাহীনস’ নামে পরিচিত পাকিস্তানের ‘এ’ দল। 

পাকিস্তান শাহীনসের দেয়া ৩৫৩ রানের লক্ষ্যে ভারত ‘এ’ দল ঠিক ১০ ওভার বাকি থাকার সময়েই অলআউট হয়ে গেছে ২২৪ রানে।   

টস জিতে আগে ব্যাট নেয়ার সিদ্ধান্তটা যে এভাবে বুমেরাং হয়ে আসবে, তা যদি ভারত অধিনায়ক যশ ধুল আগে বুঝতেন! সাতজন বোলারকে কাজে লাগিয়েছেন ভারত অধিনায়ক, এর মধ্যে চার বোলারের ৩০ ওভারেই ওভারপ্রতি গড়ে রান এসেছে ৭.৫০-এর ওপরে। স্পিনার-পেসারে কোনো ভেদাভেদ নেই, এই চারজনের দুজন স্পিনার, দুজন পেসার। আর সাড়ে সাত-ইবা কি, এই চারজনের মধ্যে দুজনের ইকোনমি ৮, একজনের ৮.৫০! 

পাকিস্তানের উদ্বোধনী জুটিতেই ১৭.২ ওভারে এসে যায় ১২১ রান। দুই ওপেনারের দুজনই পেয়েছেন ফিফটি – সাইম আইয়ুব ৫১ বলে ৭ চার ২ ছক্কায় ৫৯ রান করে ফিরলে ভাঙে উদ্বোধনী জুটি। কিছুক্ষণ পর শাহজাদা ফারহান ফেরেন ৬২ বলে ৪ চার ও ৪ ছক্কায় ৬৫ রান করে।  

২৮ ও ২৯তম ওভারে ১০ বলের মধ্যে ৪ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে কিছুটা চাপে পড়ে পাকিস্তান। ১৮৩/২ থেকে হঠাৎই স্কোর হয়ে যায় ১৮৭/৫। কিন্তু চাপ-টাপকে চারে নামা তৈয়ব তাহির জেঁকে বসতে দিলে তো! 

সেঞ্চুরি করেছেন পাকিস্তানের জার্সিতে তিনটি আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি খেলা তৈয়ব, কিন্তু শুধু এতটুকু বললে ইনিংসটার মাহাত্ম্যকে খাটো করেই দেখানো হয়! ১০৮ রান তিনি করেছেন মাত্র ৭১ বলে। ইনিংসে চার ১২টি, ছক্কা ৪টি। ম্যাচের সর্বোচ্চ স্কোরার তিনি, আবার তার ১৫২.১১ স্ট্রাইকরেটের চেয়ে বেশি স্ট্রাইকরেট ছিল শুধু একজনের – পাকিস্তানের হয়ে নয় নম্বরে নামা সেই ব্যাটসম্যান মোহাম্মদ ওয়াসিমের ১০ বলের ইনিংসে রান মাত্র ১৭।

মুবাশির খানের (৪৭ বলে ৩৫) সঙ্গে ষষ্ঠ উইকেটে ১২৬ রানের জুটি গড়েন তৈয়ব, বলের হিসাবে জুটির স্থায়ীত্ব ৯৭ বলের। দলকে ৩১৩ রানে রেখে ষষ্ঠ ব্যাটসম্যান হিসেবে তৈয়ব যখন ড্রেসিংরুমে ফিরছেন, পাকিস্তানের ইনিংসে তখনো ৫.১ ওভার বাকি।  শেষ দিকে মেহরান মুমতাজ আর ওয়াসিমের ব্যাটে সাড়ে তিন শ পার হয় পাকিস্তান। 

বিশাল এই লক্ষ্য পাড়ি দিতে ভারতের বড় জুটির দরকার ছিল, অন্তত দু-তিনজনের ব্যাটে বড় স্কোরের দরকার ছিল। কিন্তু ওপেনার অভিষেক শর্মার ৫১ বলে ৬১ রানের বাইরে ভারতের ইনিংসে একমাত্র ত্রিশ পেরোনো ইনিংস অধিনায়ক যশ ধুলের – ৪১ বলে ৩৯। 
ফল? চুরমার ভারত, শিরোপা পাকিস্তানের। 

Facebook
Twitter
LinkedIn