দেশটির দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু সিনেটকে জানান, ইউক্রেনে রুশ অভিযানের কারণে মস্কোর পক্ষে না থাকার জন্য নয়াদিল্লিকে চাপে রেখেছে ওয়াশিংটন।
যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক আগের মতো নেই বললেই চলে। রাশিয়ার কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ সামরিক সরঞ্জাম ক্রয়ের পর থেকেই ভারতের সঙ্গে সম্পর্কের অবনতি হয় দেশটির। ২০১৮ সালে দেশটির সঙ্গে এস-৪০০ ক্রয় চুক্তিতে সই করেছিল ভারত। এ নিয়ে তৎকালীন ট্রাম্প প্রশাসন ভারতকে সতর্ক করে দিয়ে জানায়, আগামী দিনে তাদের নিষেধাজ্ঞার কবলে পড়তে হতে পারে।
সম্প্রতি ইউক্রেন ইস্যুতে বিষয়টি আবারো সামনে এসেছে। জাতিসংঘে রুশ অভিযান বন্ধে মস্কোর বিরুদ্ধে ভোট দেয়নি দিল্লি। যদিও রাশিয়ার বিপক্ষে না যাওয়ার জন্য একাধিক কারণ তুলে ধরেছে দিল্লি।
তবে, রাশিয়ার কাছ থেকে এস-৪০০ কেনায় ২০২০ সালের মার্কিন আইন কাউন্টারিং আমেরিকান অ্যাডভারসারিজ থ্রু স্যাংশন অ্যাক্ট সিএএটিএসএ’র আওতায় নিষেধাজ্ঞার কবলে পড়তে পারে ভারত। যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু বলেছেন, মার্কিন প্রশাসন সিএএটিএসএ আইন অনুসরণ এবং তা সম্পূর্ণরূপে প্রয়োগ করবে
রাশিয়ার প্রতি ভারতের প্রবল প্রতিরক্ষা নির্ভরতার বিষয়টি বিপদের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র তাদের আর্থিক নিষেধাজ্ঞা থেকে ভারতকে ছাড় দেবে না বলে ধারণা করছেন ভারতীয় বিশেষজ্ঞরাও। এর আগে, ২০২০ সালের ডিসেম্বরে সিএএটিএসএ আইনের অধীনে ন্যাটো মিত্র তুরস্কের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা দেয় যুক্তরাষ্ট্র। সে সময় রাশিয়ার কাছ থেকে এস-৪০০ এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম কেনার কারণে তুরস্ককে এফ-৩৫ ফাইটার প্রোগ্রাম থেকে বহিষ্কার করে যুক্তরাষ্ট্র।