১৬ই জানুয়ারি, ২০২১ সালের বেলা সাড়ে ১০টা সময়টা ইতিহাসের শরিক হয়ে গেল। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এই মাহেন্দ্রক্ষণেই চালু করলেন কোভিড ভ্যাকসিনেশন। সারা দেশের ৩০০৬টি কেন্দ্রে একযোগে এই টিকাকরণ শুরু হল।
মোদি তার ভিডিও ভাষণে বললেন, প্রথম দফায় কোভিড এর বিরুদ্ধে যারা যুদ্ধ করেছেন নিজের জীবন বিপন্ন করে তাদের ভ্যাকসিন দেয়া হচ্ছে। যার সংখ্যা প্রায় ৩ কোটি। দ্বিতীয় দফায় ভ্যাকসিন দেয়া হবে ৩০ কোটি মানুষকে।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী জানান, দেশের মানুষকে এই ভ্যাকসিন দেয়ার পাশাপাশি বিদেশের মানুষকেও ভ্যাকসিন সরবরাহ করবে ভারত। প্রধানমন্ত্রী কোনও বিশেষ দেশের নাম করেননি
কিন্তু বিদেশ সচিব হর্ষবর্ধন শ্রিঙলা একটি বিবৃতিতে জানিয়েছেন, প্রতিবেশী দেশ হিসেবে ভ্যাকসিন পাওয়ার ক্ষেত্রে বাংলাদেশ অগ্রাধিকার পাবে।
নরেন্দ্র মোদি বলেন, করোনা জয়ের যুদ্ধ আজ শুরু হল। তবে ভ্যাকসিন নিলেও মাস্ক ব্যবহার এবং সামাজিক দূরত্ববিধি যেন মানুষ না ভোলে। তিনি মনে করিয়ে দেন ভারতের লড়াই শুরু হল বিশ্ব মানবধর্মকে মনে রেখে।
এদিকে, আমাদের কূটনৈতিক রিপোর্টার ভারতের বিদেশ মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র অনুরাগ শ্রীবাস্তবের বরাতে জানান, বাংলাদেশসহ প্রতিবেশী দেশগুলোতে টিকা পাঠানোর বিষয়টি অগ্রাধিকারে থাকলেও এই মুহূর্তে কাছের বা দূরের কোন বন্ধু রাষ্ট্রের অনুরোধই রাখতে পারছে না ভারত। একাধিক সংবাদ মাধ্যমও শুক্রবার এ খবর দিয়েছে। মুখপাত্র সাংবাদিকদের জানান, এই মুহূর্তে ভারতের টিকাদান কর্মসূচি নিয়ে ব্যস্ততা চলছে, তার প্রস্তুতি চলছে, এখনো সব জায়গায় পুরো ডোজ পৌঁছায়নি। সুতরাং এই মুহূর্তে বিদেশের অনুরোধ মানা সম্ভব হবে না।