২৭শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ / ১২ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ / ২৫শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি / সন্ধ্যা ৭:৩৬
২৭শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ / ১২ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ / ২৫শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি / সন্ধ্যা ৭:৩৬

ভারতে গিয়ে এমন কথা বলিনি, এটা ডাহা মিথ্যা : পররাষ্ট্রমন্ত্রী

পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, আমাকে যে অভিযোগে অভিযুক্ত করা হয়েছে তার ধারে কাছেও আমি নেই। 

তিনি বলেন, শেখ হাসিনার সরকারকে টিকিয়ে রাখতে হবে, ভারতে গিয়ে এমন কথা বলিনি। এটা একটা ডাহা মিথ্যা কথা। নির্বাচন নিয়েও আমি কোনো কথা বলিনি।

সোমবার (২২ আগস্ট) সচিবালয়ে মন্ত্রিসভার বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ বলেন। 

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে ভার্চুয়ালে মন্ত্রিসভা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। প্রধানমন্ত্রী গণভবন থেকে এবং মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীরা সচিবালয়ের মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সভাকক্ষ থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বৈঠকে যোগ দেন।

মন্ত্রিসভা বৈঠক শেষে সচিবালয়ে সাংবাদিকদের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমাকে যে অভিযোগে অভিযুক্ত করা হয়েছে আমি তার ধারে কাছেও নেই। তাহলে কি এটা মিথ্যা অভিযোগ? সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, এটি ডাহা মিথ্যা। নির্বাচন নিয়ে কোনো কথা বলিনি।

তাহলে কি বলেছেন? সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, গ্লোবাল কনটেস্ট যে অস্থিতিশীল অবস্থা তার প্রেক্ষিতে স্থিতিশীলতার কথা বলেছি।

সম্প্রতি বিতর্কিত বক্তব্য দিয়ে সমালোচনার মধ্যে পড়েন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন। এ অবস্থায় রোববার (২১ আগস্ট) বক্তব্যের বিষয়ে মন্ত্রীকে পাঠানো হয়েছে লিগ্যাল নোটিশ। নোটিশ পাওয়ার ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তাকে পদত্যাগ করতে বলা হয়েছে। অন্যথায় আইনি প্রতিকার চেয়ে হাইকোর্টে রিট করা হবে বলে জানানো হয়।

গত ১৮ আগস্ট সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম শহরের জে এম সেন হলে এক অনুষ্ঠানে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, দুই দেশেরই রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা প্রয়োজন। এটি সম্ভব যদি শেখ হাসিনার সরকারকে সমর্থন দেয় ভারত।

তিনি বলেন, শেখ হাসিনার সরকারকে টিকিয়ে রাখার জন্য যা যা করা দরকার, আমি ভারতবর্ষের সরকারকে সেটা করতে অনুরোধ করেছি।

পররাষ্ট্রমন্ত্রীর এ বক্তব্যে দেশজুড়ে আলোচনার ঝড় ওঠে। খোদ আওয়ামী লীগও এ বক্তব্যে বিব্রত। রাজনৈতিক বিশ্লেষক ও কূটনীতিকরা বলছেন, পররাষ্ট্রমন্ত্রী যা বলেছেন তা দেশের জন্য অসম্মানজনক।

অন্যদিকে বিএনপি লুফে নিয়েছে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর এ বক্তব্য। দলটির নেতারা এর তীব্র সমালোচনা করেছেন।

Facebook
Twitter
LinkedIn