কিশোরগঞ্জের ভৈরব উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে বেড়েছে গরু চুরি। গত দুই মাসে প্রায় ২ শতাধিক গরু চুরির ঘটনা ঘটেছে। এতে খামারি ও কৃষকদের মধ্যে উদ্বেগ বেড়েছে। চুরি ঠেকাতে রাত জেগে খামার ও গোয়াল ঘর পাহারা দিচ্ছেন তারা। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী টহল বাড়ালেও গরু চুরি থামছেনা।
গত দুই মাসে ভৈরবের মানিকদী, লন্দিয়া, শ্রী-নগর, ভবানিপুরসহ বিভিন্ন গ্রাম থেকে কমপক্ষে দুশ’রও বেশি গরু চুরির ঘটনা ঘটেছে। উপজেলার ৭ টি ইউনিয়নেই রয়েছে গরু চোর চক্রের সক্রিয় সদস্য। তারা মধ্যরাতে কৃষকের বাড়িতে ঢুকে গরু চুড়ি করে নৌকায় তুলে নিয়ে চলে যায়। এসময় কেউ কেউ চোরদের উপস্থিতি বুঝতে পারলেও অস্ত্রের ভয়ে কিছু বলে না।
চুরি করা গরুগুলো রাতের আঁধারে বিক্রি করা হয় মাংস ব্যবসায়ীদের কাছে। পুলিশের কাছে কয়েকজন চোর ধরা পড়ার পাশাপাশি বিভিন্ন থানায় মামলাও হয়েছে। স্থানীয়রা জানায়, কেউ চুরি যাওয়া গরু ফেরত পেতে চাইলে চোর চক্রকে দিতে হয় নগদ টাকা।
পুলিশ জানিয়েছে, অভিযোগ পাওয়ার পর টহল জোরদার করা হয়েছে। গরু চোরদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় এনে শাস্তি নিশ্চিত করবে প্রশাসন, এমনটাই প্রত্যাশা স্থানীয়দের।