তৃতীয় ধাপে ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে মানিকগঞ্জ সদর উপজেলায় সাতটি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ‘বিদ্রোহী’ প্রার্থী হওয়ায় ১১ জনকে আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠন থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। সোমবার দুপুরে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি গোলাম মহীউদ্দীন এবং সাধারণ সম্পাদক আবদুস সালাম স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবদুস সালাম বলেন, দলীয় পদে থেকে যারা ইউপি নির্বাচনে বিদ্রোহী প্রার্থী হয়েছেন, তাদের সবাইকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনের সব ধরনের পদ থেকে তাদের অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া দলীয় পদে থেকে যারা নৌকার বিরুদ্ধে অন্য প্রার্থীর পক্ষে কাজ করছেন, তাদের সর্তক করা হয়েছে।
বহিষ্কার করা ১১ জন বিদ্রোহী প্রার্থী হলেন- মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার দিঘী ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) বিদ্রোহী প্রার্থী ও জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য সাবেক চেয়ারম্যান আখতার উদ্দিন আহমেদ রাজা, একই ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সদস্য নুসরাত ইসলাম নুপুর, বেতিলা-মিতরা ইউনিয়নের বিদ্রোহী প্রার্থী ও সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক সাবেক চেয়ারম্যান মো. আসমত আলী, একই ইউনিয়নের অপর বিদ্রোহী প্রার্থী ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সদস্য ফারুক আহমেদ ফিলিপ, কৃষ্ণপুর ইউনিয়নে বিদ্রোহী প্রার্থী ও সদর উপজেলা কৃষক লীগের সাবেক আহবায়ক সাবেক চেয়ারম্যান আবদুল হামিদ ওরফে চান্দু দারোগা, পুটাইল ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান ও সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের কৃষিবিষয়ক সম্পাদক আবদুল জলিল, একই ইউনিয়নের বিদ্রোহী প্রার্থী ও জেলা সড়ক পরিবহন শ্রমিক লীগের সভাপতি সোয়েব আহম্মেদ রাজা, ভাড়ারিয়া ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আবদুল কাদের এবং একই ইউনিয়নের বিদ্রোহী প্রার্থী ও সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক জাফর ইমাম শাহাজাদা, হাটিপাড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সদস্য মো. মিজানুর রহমান এবং আটিগ্রাম ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সদস্য নার্গিস আক্তার।