অভিনেতা আব্দুল কাদেরের মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আজ শনিবার (২৬ ডিসেম্বর) প্রধানমন্ত্রীর প্রেস উইং থেকে পাঠানো এক শোক বার্তায় শেখ হাসিনা বলেন, ‘সাবলীল ও স্বতঃস্ফূর্ত অভিনয়ের মধ্য দিয়ে তিনি মানুষের হৃদয়ে বেঁচে থাকবেন।’
এ সময় প্রধানমন্ত্রী মরহুমের আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং তার শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।
শনিবার (২৬ ডিসেম্বর) সকালে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন আব্দুল কাদের। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৬৯ বছর।
প্যানক্রিয়াসের ক্যানসারে আক্রান্ত ছিলেন আব্দুল কাদের। উন্নত চিকিৎসার জন্য ৮ ডিসেম্বর চেন্নাই নিয়ে যাওয়া হয়েছিল তাকে। সেখান থেকে দেশে ফেরেন ২০ ডিসেম্বর। তারপর থেকে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন জনপ্রিয় এ অভিনেতা।
আব্দুল কাদেরের জন্ম মুন্সীগঞ্জের টঙ্গিবাড়ী থানার সোনারং গ্রামে। তার বাবা মরহুম আবদুল জলিল। মা মরহুমা আনোয়ারা খাতুন। স্ত্রী খাইরুননেছা কাদেরের সঙ্গে সুখের দাম্পত্যে তিনি এক ছেলে ও এক মেয়ের জনক। রেখে গেছেন নাতি-নাতনিসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী ও বন্ধু স্বজন।
আব্দুল কাদের হুমায়ূন আহমেদের লেখা ‘কোথাও কেউ নেই’ ধারাবাহিক নাটকে ‘বদি’ চরিত্রে অভিনয় করে তুমুল জনপ্রিয়তা পান। এছাড়াও তিনি হুমায়ূন আহমেদের ‘নক্ষত্রের রাত’ নাটকে দুলাভাই চরিত্রেও দারুণ প্রশংসিত হন।
জনপ্রিয় ম্যাগাজিন অনুষ্ঠান ইত্যাদির নিয়মিত শিল্পী ছিলেন আব্দুল কাদের। ছোটপর্দা, বিজ্ঞাপন এবং বড়পর্দা- তিন মাধ্যমেই সমান জনপ্রিয় তিনি। তার উল্লেখযোগ্য নাটকগুলোর মধ্যে রয়েছে পায়ের আওয়াজ পাওয়া যায়, এখনো ক্রীতদাস, তোমরাই, স্পর্ধা, দুই বোন, মেরাজ ফকিরের মা ইত্যাদি।