২৬শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ / ১১ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ / ২৪শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি / দুপুর ১২:৫৭
২৬শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ / ১১ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ / ২৪শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি / দুপুর ১২:৫৭

মালয়েশিয়ার নতুন প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিম

মালয়েশিয়ার নতুন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নাম ঘোষণা করা হয়েছে প্রবীণ নেতা আনোয়ার ইব্রাহিমের। বৃহস্পতিবার (২৪ নভেম্বর) বেশ কয়েকদিনের নির্বাচন-পরবর্তী অচলাবস্থার পর নতুন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তার নাম ঘোষণা করা হয়। বৃহস্পতিবার এক প্রতিবেদনে এতথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি। এদিকে প্রধানমন্ত্রী মনোনীত হওয়ার পর আজই শপথ নেবেন আনোয়ার ইব্রাহিম।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বৃহস্পতিবার আনোয়ার ইব্রাহিমকে মালয়েশিয়ার নতুন প্রধানমন্ত্রী মনোনীত করেন দেশটির রাজা সুলতান আবদুল্লাহ। সপ্তাহখানেক আগে অনুষ্ঠিত ওই নির্বাচনে কোনো দলই একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়নি এবং দেশটি তার ইতিহাসে প্রথমবারের মতো নজিরবিহীন ভাবে ঝুলন্ত সংসদের সাক্ষী হয়।

ওই নির্বাচনে আনোয়ার বা সাবেক প্রধানমন্ত্রী মুহিউদ্দিন ইয়াসিন কেউই সরকার গঠনের জন্য প্রয়োাজনীয় সাধারণ সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করতে পারেননি।

বার্তাসংস্থা এএফপির খবরে বলা হয়েছে, ‘মালয় শাসকদের মতামত বিবেচনা করার পর, মহামান্য (রাজা) আনোয়ার ইব্রাহিমকে মালয়েশিয়ার ১০ম প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগের বিষয়ে সম্মতি দিয়েছেন।’

আনোয়ারের পাকাতান হারাপান পার্টি গত শনিবারের নির্বাচনে সবচেয়ে বেশি আসন জিতেছে, সরকার গঠনের জন্য পর্যাপ্ত আসন তাদের হাতে নেই। আর তাই তিনি কোন দলের সাথে জোট করে ক্ষমতায় যাচ্ছেন তা এখনও স্পষ্ট নয়।

যদিও ব্রিটিশ বার্তাসংস্থা রয়টার্স বৃহস্পতিবার এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, আজ দেশটির দুই  বৃহত্তর জোট সংস্কারবাদী আনোয়ার ইব্রাহিমের হারাপান কোয়ালিশন এবং সাবেক সরকার দলীয় জোট ইসমাইল ইয়াকোবের বারিসান ন্যাশনাল কোয়ালিশন একটি রাজনৈতিক সমঝোতায় পৌঁছাতে পারে। এতে করে আনোয়ার প্রধানমন্ত্রী হবেন।

বিবিসি বলছে, আনোয়ার ইব্রাহিম স্থানীয় সময় বিকেল ৫টায় মালয়েশিয়ার নতুন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে রাজার কাছে শপথ নেবেন।

উল্লে­খ্য, আনোয়ারের পাকাতান হারাপান পার্টি ২০১৮ সালে প্রথমবারের মতো ইতিহাস তৈরি করে তৎকালীন বারিসান ন্যাশনালের রাজত্বের অবসান ঘটায়। কিন্তু দুই বছর পরই এটি ক্ষমতা হারায়। মূলত তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী মাহাথির মোহাম্মদ পদত্যাগ করলে শাসক জোট ভেঙে পড়ে এবং মালয়েশিয়া রাজনৈতিক অস্থিরতার মধ্যে নিমজ্জিত হয়।

Facebook
Twitter
LinkedIn