২৮শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ / ১৩ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ / ২৬শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি / রাত ৯:৫৪
২৮শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ / ১৩ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ / ২৬শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি / রাত ৯:৫৪

মাস্কই করোনার প্রটোকল

করোনা ভাইরাস একটি ছোঁয়াচে রোগ যা SARS ভাইরাসের মাধ্যমে হয় এর উৎপত্তি চীনের উহান নগরীতে এখানেই প্রথম ২০১ে৯ সালে করোনা মহামারী প্রকট আকারে বিস্তার ছড়ায় সাধারণত বাসা বাড়ি,  অথবা ভিড়ের স্থান থেকে এটি মানুষের দেহে  প্রবেশ করে কারো দেহে  এই ভাইরাস থাকলে নিঃশ্বাস, সর্দি, হাচি কাশি, কথাবার্তা, হাতের সংস্পশ থেকে  এই ভাইরাস দ্রুত দেহ থেকে দেহে ছড়িয়ে পড়ে, কমপক্ষে ৩ ফিট দূরে থাকাটা হলো  নিরাপদ দূরত্ব অল্প ও কাছাকাছি দূরত্বে থাকলেও এই ভাইরাস সংক্রমণ ঘটাতে পারে  সে কারণে মুখ ও নাকের ওপর মাস্ক থাকাটা অত্যন্ত জরুরি কেননা এই মাস্কই এখন করোনার ভাইরাসের বিরুদ্ধে একমাত্র প্রটেকশন ।

এ ভাইরাস দেখা দিলে ঘরেই থাকতে হয় রোগীকে ঘরেই নিয়ম কানুন মেনে রোগীকে সারিয়ে তোলা যায় । কিন্তু প্রকট আকার দেখা দিলে ডাক্তারের সরনাপন্ন হতে হয়। চিকিৎসা সেবা নিতে হয় এখন করোনা ভাইরাস এবং এর সচেতনতা সম্পর্কে  অনভিজ্ঞ এমন ব্যক্তি পাওয়া মুসকিল বিশ্বের সব দেশের জনগনই অতিরিক্ত সচেতনতার সাথে সব নিয়ম কানুনও মেনে চলছে ব্যতিক্রম শুধু আমরা এতকিছু জানার পরও এখনও সচেতন হয়ে উঠতে পারছি না। বিশেষ করে মাস্ক ব্যবহারে জনগন অতিরিক্ত খামখেয়ালী ও উদাসীন এদেশে খেটে খাওয়া মানুষের সংখ্যা বেশি হওয়ায়, ও রাস্তা ঘাটেরে ভীড়ে জনগণের চলাফেরায় খুব সহজেই এই করোনা ভাইরাস ছড়িয়ে পড়েছে ।

ছোয়োচে ও মরনব্যধি মহামারি এখন কোভিড ১৯ ভাইরাসটি এর হাত থেকে বেঁচে থাকতে সামাজিক সচেতনতার কোন বিকল্প নেই। আনুমানিক ১৮ বছর আগে সারস ভাইরাস করোনার মতই প্রকট আকারে শুরু হয়েছিল ২০০২-২০০৩ সালে এই ভাইরাসে সারা বিশ্বের ৭০০ জনের মত মানুষ মারা গিয়েছে যা ছিল করোনার  প্রকট যেন যেন বাড়তে পাড়ে, এখন সরকার নানান পদক্ষেপ হাতে নিয়েছে সরকারি বেসরকারিভাবে চলছে। করোনা মোকাবিলায় সামাজিক প্রচারণাও এছাড়াও জরগন কোন যেন কোন ভুল তথ্যে শিকার না হয় তাই চলছে করোনা ভাইরাসের টীকা প্রকল্প চলছে নানান নির্দেশনা সবাই এখন সচেতনতার সাথেই টীকা দিচ্ছে ,সব নিয়ম কানুনও মানতে চেষ্টা করছে ।তারপরও একশ্রেণির মানুষ এখনও এই মরণঘাতি করোনা ভাইরাসকে পাত্তা দিতে চায় না অনেকে মুখে মাস্কবীহিন চলাচল করছে জেল জরিমানা করেও এসব অসচেতন মানুষকে কঠোরতার ভেতরে আনা যাচ্ছে না তাই সব দায়িত্ব সরকারের ওপর চাপিয়ে আমরা করোনা ভাইরাসকে এড়িয়ে থাকতে পারি না। এতে আমাদের নিজেদের জীবনই পড়বে হুমকীর মুখে আমরা কেন বুঝতে চাই না, মাস্ক পরিধান করতে কেন এত অনিচ্ছা ? কেন এত অবহেলা ? আমরা কেন ভয় পাই না যে, এখন অবধি বিশ্বে করোনায় আক্রান্ত হয়ে ৫,৫৬৬,১১৮ জন মানুষ পৃথিবী থেকে চির বিদায় নিয়েছে আমাদের নিজেদের দেশের হিসাব মতে, আমরা হারিয়েছি ২৮,১৬৪ জনকে !

সময় থাকতে তাই আর অবহেলা না করে সবাইকে সচেতন ও সাবধান থাকতে হবে এবং মেনে চলতে হবে করনীয় বিষয়সমুহ।

লেখক : সামিয়া সুলতানা

ওয়ারী ঢাকা

Facebook
Twitter
LinkedIn