বিশ্বজুড়েই চলছে করোনাভাইরাসের তাণ্ডব। এই ভাইরাসের সংক্রমণ এড়াতে মাস্ক ব্যবহার করা অত্যাবশ্যকীয়। কেননা, এই ভাইরাস থেকে বেঁচে থাকার সবচেয়ে কার্যকরী উপায় এটি। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরাও এই পরামর্শই দিচ্ছেন। মাস্ক পরলে বেশিরভাগ মানুষেরই সমস্যা হয় না, কিন্তু যারা চশমা পরেন তারা একটা সমস্যায় পড়েন আর সেটি হল চশমার কাঁচ ঘোলাটে হয়ে যাওয়া। কেননা শ্বাস-প্রশ্বাস নিতে গেলে চশমায় গিয়ে জমা হয় বাতাস। এতে এক পর্যায়ে চশমা ঘোলাটে হয়ে যায়। আর তাই কিছুক্ষণ পর পর চশমার কাঁচ পরিষ্কার করতে হয়। এতে চোখে ভাইরাস যাওয়ার আশঙ্কা কয়েকগুণ বেড়ে যায়।
তবে চশমা ঘোলাটে হওয়ার এই সমস্যা এড়ানোর কার্যকর উপায় রয়েছে। আর তা ঘরোয়া কিছু উপাদানের মাধ্যমেই সম্ভব। আসুন জেনে নেওয়া যাক কীভাবে চশমার ঘোলাটে হওয়া এড়াবেন
সাবান-জল
মাস্ক পরার আগে চশমার কাঁচকে সাবান জল দিয়ে ধুয়ে নিতে পারেন। এতে কাজ হয় বলে জানিয়েছেন দ্য রয়েল কলেজ অব সার্জন্স অব ইংল্যান্ডের একজন সার্জন। তিনি বলেন, সাবান জলে চশমার কাঁচ ধুয়ে বাতাসে শুকিয়ে নিলে কুয়াশা প্রতিরোধ হবে। এর কারণ হলো, সাবান সারফেস অ্যাক্টিভ অ্যাজেন্ট (সারফেক্ট্যান্ট) হিসেবে কাজ করে ও চশমার কাঁচে একটি পাতলা আবরণ সৃষ্টি করে, যা চশমাকে ঘোলাটে হতে দেয় না।
শেভিং ক্রিম
আরেকটি সহজ উপায় হল শেভিং ক্রিম। চশমার কাঁচে সামান্য শেভিং ক্রিম লাগাতে পারেন। এরপর শুষ্ক কাপড় দিয়ে আলতো করে ঘষে মুছে ফেলুন।
বেবি শ্যাম্পু
বেশিরভাগ শ্যাম্পুতেও সারফেক্ট্যান্ট উপাদান থাকে। মাস্ক পরার আগে চশমার কাঁচকে বেবি শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে নিতে পারেন। এক্ষেত্রে চশমার কাঁচে সামান্য পরিমাণ বেবি শ্যাম্পু লাগিয়ে ভেজা কাপড় দিয়ে হালকা করে ঘষুন। এরপর জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
টুথপেস্ট
ঘোলাটে চশমা পরিষ্কারের আরেকটি সহজ উপাদান হলো টুথপেস্ট। সামান্য পেস্ট চশমার কাঁচে লাগিয়ে টুথব্রাশ দিয়ে আলতো করে ঘষুন। চশমা পরিষ্কার এবং চকচকে হয়ে উঠবে।
ক্লিনার
প্রয়োজনে অ্যান্টি-ফগ ক্লিনার ব্যবহার করতে পারেন। চশমার দোকানে এই ক্লিনার পাওয়া যায়। এটির ব্যবহারে চশমা ১-৩ দিন পর্যন্ত ঘোলাটে হবে না। সূত্র: ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস