মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলায় জামিনে কারামুক্ত হয়েছেন ঢাকাই চলচ্চিত্রের আলোচিত নায়িকা পরীমণি। বুধবার সকাল সাড়ে ৯টায় গাজীপুরের কাশিমপুর কেন্দ্রীয় মহিলা কারাগার থেকে বের হন তিনি।
কারা ফটক থেকে একটি সাদা গাড়িতে করে বের হতে দেখা যায় পরীমণিকে। এ সময় তিনি সাদা পোশাকে ছিলেন। তাকে নিতে গাজীপুরের কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার উপস্থিত ছিলেন স্বজনরা।
পরীমণির আইনজীবী নীলাঞ্জনা রিফাত সুরভীসহ পরিবারের একাধিক সদস্য এ সময় উপস্থিত ছিলেন। এ ছাড়া পরীমণির আইনজীবী প্যানেলের কয়েকজন সদস্যও তাদের সাথে ছিলেন।
এর আগে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলায় জামিন হয় পরীমণির। মঙ্গলবার ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েশ শুনানি শেষে তার জামিন মঞ্জুর করেন।
গত রোববার (২৯ আগস্ট) উচ্চ আদালতের নির্দেশে ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েশ পরীমণির জামিন শুনানির জন্য ৩১ আগস্ট দিন ধার্য করেন।
এর আগে গত ২২ আগস্ট ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েশের আদালতে পরীমণির জামিন আবেদন করেছিলেন তার আইনজীবী মজিবুর রহমান। তখন আদালত শুনানির জন্য ১৩ সেপ্টেম্বর দিন ধার্য করেছিলেন। পরে তার আইনজীবীরা এ নিয়ে হাইকোর্টে আবেদন করেন।
গত ৪ আগস্ট অভিযান চালিয়ে পরীমণিকে তার বনানীর বাসা থেকে আটক করে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)।
ওই দিনই রাত সোয়া ৮টার দিকে পরীমণিকে একটি সাদা মাইক্রোবাসে করে র্যাব সদর দফতরে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে রাত ১২টা পর্যন্ত তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে র্যাব। পর দিন ৫ আগস্ট বিকেলে পরীমণি, চলচ্চিত্র প্রযোজক নজরুল ইসলাম রাজ ও তাদের দুই সহযোগীকে বনানী থানায় নিয়ে যাওয়া হয়।
এরপর র্যাব রাজধানীর বনানী থানায় পরীমণি ও তার সহযোগী দীপুর বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা করে। এর আগে জুন মাসে এক ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে ধর্ষণ ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগ করে ব্যাপকভাবে আলোচনায় এসেছিলেন পরীমণি।
তিনি প্রথমে তার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে ‘ধর্ষণ ও হত্যা চেষ্টার’ অভিযোগ তুলে বেশ সাড়া ফেলে দেন। আক্রান্ত হওয়ার পর প্রতিকার চেয়ে তিনি বনানী থানায় গিয়ে কোনো সাড়া পাননি বলে অভিযোগ করেন।
ফেসবুক পোস্টে বিচার চেয়ে তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাহায্য কামনা করেন। এ ঘটনার জের ধরে মামলা হয় এবং ব্যবসায়ী নাসির ইউ মাহমুদকে আটক করা হয়, যিনি বর্তমানে জামিনে মুক্ত আছেন।
গত প্রায় এক দশক ধরে বাংলাদেশের বাণিজ্যিক চলচ্চিত্রে অভিনয় করছেন এই অভিনেত্রী। ২০২০ সালে ফোর্বস ম্যাগাজিনের করা এশিয়ার ১০০ ডিজিটাল তারকার তালিকায় ঠাঁই করে নিয়েছিলেন তিনি।