সাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপের প্রভাব পড়তে পারে বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা ওয়ানডে সিরিজে, তার আভাস ছিল আগেই। এবার সত্যি হলো সেটিই। বৃষ্টির কারণে দুইবার বন্ধ হলো সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচের খেলা। দ্বিতীয় দফা বৃষ্টির কারনে আধা ঘন্টা বন্ধ থকার পর ফের খেলা মাঠে গড়ালে সেঞ্চুরি তুলেনেন মুশফিকুর রহীম। ১১৪ বলে ওয়ানডে ক্যারিয়ারে অষ্টম সেঞ্চুরি করেন দেশের অন্যতম সেরা এই ক্রিকেটার। ১২৫ করে ফেরেন মুশফিক। তার দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ের পরেও ৪৮.১ ওভারে ২৪৬ রান অলআউট হয় বাংলাদেশ।
এর আগে ম্যাচে টস জিতে ব্যাটিং করতে নেমে শুরুতেই ধাক্কা খায় বাংলাদেশ। ১৫ রানের মধ্যে দুই অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান তামিম ইকবাল আর সাকিব আল হাসান সাজঘরের পথ ধরেন।
অথচ ইনিংসের প্রথম ওভারে ইসুরু উদানাকে তিন বাউন্ডারি হাঁকিয়ে দারুণ শুরুর ইঙ্গিত দিয়েছিলেন তামিম।
কিন্তু দুশমন্ত চামিরার পরের ওভারে জোড়া উইকেট হারিয়ে বসে বাংলাদেশ।
তবে ‘মিস্টার ডিপেন্ডেবল’, নিজের উপাধির মান রাখছেন মুশফিকুর রহীম। সিরিজের প্রথম ম্যাচে তার ৮৪ রানের বড় ইনিংসই বাংলাদেশকে জয়ের ভিত গড়ে দেয়। প্রথম ওয়ানডের ম্যাচসেরা এই খেলোয়াড় দ্বিতীয় ম্যাচেও দারুণ ব্যাট করেন। পঞ্চম উইকেটে মাহামুদুল্লাহ রিয়াদকে সঙ্গে নিয়ে ৮৭ রানের জুটি গড়েন মুশফিক। রিয়াদ ৪১ রান করে ফিরলেও ক্যারিয়ারে অষ্টম সেঞ্চুরি তুলেনেন মুশফিকুর রহীম। শেষ ব্যাটসম্যান হিসেবে আউট হওয়ার আগে ১০ চারে ১২৭ বলে খেলেন ১২৫ রানের ইনিংস।
এদিন মিঠুনের পরিবর্ত হিসেবে খেলতে নামা মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত লক্ষ্মণ সান্দাকানের বল খেলতে গিয়ে তুলে দিলেন উইকেট কিপার কুশল পেরেরার হাতে। বিদায়ের আগে ডান হাতি এই ব্যাটসম্যানের সংগ্রহ ১২ বলে ১০ রান।
২৫ রানে আউট হন লিটন দাস। টপ অর্ডারের দুই ব্যাটসম্যান তামিম ইকবাল ও সাকিব আল হাসানের দ্রুত উইকেট পতন হয়। একপাশ আগলে রেখে খেলা চালিয়ে যান লিটন। ধীর গতিতে মুশফিকুর রহীমের সঙ্গে বাঁধেন ৩৩ রানের জুটি। লিটন লক্ষ্মণ সান্দাকানের বলে ডি সিলভার তালুবন্দি হলে ভাঙে এই জুটি। ক্রিজ ছাড়ার আগে ৪২ বল খেলে ২৫ রান খেলেন এই ডানহাতি ব্যাটসম্যান। নাতিদীর্ঘ ইনিংসে ২টি চার হাঁকান লিটন।