মিরপুরে দিনের শুরুতে মাত্র ৭টি ওভারের খেলা তখন শেষ হয়েছে। স্কোরবোর্ডে ২৪ রান তুলতেই একে একে সাজ ঘরে ফিরে যান বাংলাদেশের ৫ ব্যাটার। মাহমুদুল, তামিম, শান্ত ও মুমিনুলের পর দলের হাল ধরতে ব্যর্থ হন সাকিব আল হাসানও। তবে পথ হারায়নি বাংলাদেশ। কেননা ঢাকা টেস্টের প্রথমদিনে এখনো ম্যাচে টিকে আছে স্বাগতিকরা। শ্রীলঙ্কার বোলাররা শুরুতে দাপট দেখালেও তা সামাল দেন মুশফিকুর রহিম ও লিটন দাস। বিপদ পাড়ি দেয়া এই জুটি গড়েছেন নতুন রেকর্ডও।
এই প্রতিবেদন লেখার সময়ও ষষ্ঠ উইকেট জুটিতে ব্যাটিং করছিলেন মুশফিক ও লিটন। ৭৩ ওভার শেষে দলের মোট রান ২৪২। লিটন দাস ১২৫ ও মুশফিকুর রহিম ৯৬ রানে ক্রিজে আছেন। এই জুটির সংগ্রহ ২১৮। যা বাংলাদেশের হয়ে ষষ্ঠ উইকেট জুটিতে সর্বোচ্চ।
এর আগে ষষ্ঠ উইকেট জুটিতে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ রান ছিল ১৯১। ২০০৭ সালে শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে এই রান করেছিলেন মুশফিকুর রহিম ও মোহাম্মদ আশরাফুল জুটি। ওই ম্যাচের প্রথম ইনিংসে ৬২ রানে অলআউট হয়েছিল বাংলাদেশ। ৭৮ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে দ্বিতীয় ইনিংসেও ছিল অল্প রানে গুটিয়ে যাওয়ার শঙ্কা। কিন্তু ষষ্ঠ উইকেটে নামা মুশফিককে নিয়ে দারুণ প্রতিরোধ গড়েন তৎকালীন সেনাপতি মোহাম্মদ আশরাফুল।
সেদিন ২৯৯ রানে অলআউট হওয়ার আগে আশরাফুল খেলেন ১২৯ রানের ঝকঝকে এক ইনিংস। মুশফিককে সাথে নিয়ে ১৯১ রানের জুটি গড়েন। মুশফিক সেদিন খেলেছিলেন ৮০ রানের এক নান্দনিক ইনিংস। তবে হার এড়ানো যায়নি সে ম্যাচে। ইনিংস ও ৯০ রানে হেরেছিল বাংলাদেশ।
এই ম্যাচে লিটন দাস পেয়েছেন তার টেস্ট ক্যারিয়ারের তৃতীয় শতক। এবং সেটাকে নিয়ে গেছেন নিজের সর্বোচ্চ রানে। আগের ১১৪ পেরিয়েছেন আগেই। ১১৭ রানে এখনো ক্রিজে আছেন তিনি।
এছাড়াও ২৫ বা তার চেয়ে কম রানে ৫ উইকেট পড়ার পর সর্বোচ্চ জুটি এখন মুশফিক-লিটনের। ২৫ এ নীচে ৫ উইকেট পড়ার পর আগে সর্বোচ্চ জুটি ছিল ২১৭। লিটন মুশফিক-সেই রেকর্ডও ভেঙেছেন।