যতক্ষণ তত্ত্বাবধায়ক সরকার না দিবে ততক্ষণ রাজপথে যদি আমাদের মৃত্যুও হয় আমরা রাজপথ ছেড়ে যাবো না বলে প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেছেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমান উল্লাহ আমান।
শনিবার ইঞ্জিনিয়ার ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে বিএনপি আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এ প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন।
সাংবিধানিকভাবে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে ২০০১ সালের ১ অক্টোবর বাংলাদেশে সর্বশেষ নিরপেক্ষ ও জনগণের অংশগ্রহণমূলক গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এই দিবসটিতে নির্বাচনকালীন নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন অনুষ্ঠানের আবশ্যকতাকে তুলে ধরার জন্য এ আলোচনা সভার আয়োজন করে বিএনপি।
আমান উল্লাহ আমান বলেন, তারেক রহমানের একটি স্লোগান আছে, ‘যদি তুমি ভয় পাও তবে তুমি শেষ, যদি তুমি রুখে দাঁড়াও তবেই বাংলাদেশ’। সেই বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার জন্য, শহীদ জিয়া, বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার জন্য আমরা আরেকবার যুদ্ধ করে বিজয়ী হবোই ইনশাআল্লাহ।
ডাকসুর সাবেক এই ভিপি বলেন, ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর ভোট হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু ২৯ ডিসেম্বর আগের রাতেই ভোট হয়ে গেছে। নির্বাচনের দিন কোনো এজেন্ট থাকতে পারেনি, সব এজেন্ট বের করে দিয়েছে।
আমান উল্লাহ আমান বলেন, এই সরকার আবার একটি নির্বাচন করতে চায়। অনেক আশা তারা আবার ক্ষমতায় আসবেন। আমি বলবো বায়ান্নর ভাষা আন্দোলনে রফিক, জব্বাররা জীবন দিয়ে মায়ের ভাষা প্রতিষ্ঠা করেছিল। বাষট্টির শিক্ষা আন্দোলনে অজিউল্লাহ বাবু ভাইয়ের জীবনের বিনিময়ে শিক্ষার অধিকার প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। গণঅভ্যুত্থান শহীদ আসাদের রক্তে সফল হয়েছিল। একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে লাখ লাখ শহীদের রক্তের বিনিময়ে সেদিন আমরা স্বাধীনতা পেয়েছিলাম। নব্বইয়ের স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনে শহীদ নুর হোসেনের রক্তের বিনিময়ে আমরা পেয়েছিলাম গণতন্ত্র। সেই দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া আজকে কারাগারে। তার চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হচ্ছে না।
সভায় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, দলের স্থায়ী কমিটির সদস্যসহ অন্য নেতাকর্মীরা উপস্থিত আছেন।