চুরি-ডাকাতির শিকার হলেন লিওনেল মেসি। চোরেরা তার হোটেলের রুম ভেঙে ঢুকে হাজার হাজার নগদ পাউন্ড ও গহনা নিয়ে লোপাট। প্যারিসের পাঁচ তারকা লে রয়্যাল মোনকিউ হোটেলে এই ঘটনা গত বুধবার। এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে ব্রিটিশ গণমাধ্যম দ্য সান।
ছাদ দিয়ে বিল্ডিংয়ের বাইরে থেকে ওই হোটেলে ঢোকে চোরেরা। তারপর আনলক করা বারান্দার দরজা দিয়ে রুমে ঢুকে পড়ে। সিসিটিভি ক্যামেরায় একটি ব্যাগ নিয়ে দুজন লোককে ছাদে দেখেছে। কিন্তু তাদের শনাক্ত করতে পারেনি তারা।
একজন মুখপাত্র বলেছেন, খুব শক্ত নিরাপত্তা ছিল এবং এটা তদন্ত করা হচ্ছে। প্রমাণ পাওয়া গেছে চোরেরা খুব অভিজ্ঞ।
এক নারী ভুক্তভোগী ঘরে ঢুকে টের পান তার কানের দুল, নেকলস ও নগদ অর্থ নেই। দ্য সানকে ওই নারী বলেন, ‘নিরাপদ একটা জায়গায় টাকা দিয়ে থাকার পর কেউ একজন আপনার রুমে প্রবেশ করল, এটা খুব হতাশার। পুলিশ আমাদের বলেছে, সিসিটিভি ক্যামেরায় একটি ব্যাগ নিয়ে দুজন লোককে ছাদে দেখেছে। কিন্তু তাদের শনাক্ত করতে পারেনি তারা। তারা আরও বলেছে, আরও তিনটি চুরির ঘটনা ঘটেছে। একজন মরক্কান নাগরিক, পাশের রুমে থাকে। সে বলল তার ঘড়ি খুঁজে পাচ্ছে না।’
এতে অবশ্য মেসির কোন ক্ষতি হয়নি। তবে হোটেলটির নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে, কিভাবে এত নামী হোটেলে বাইরে থেকে মানুষ প্রবেশ করে আবার জিনিসপত্র নিয়ে বেরও হয়ে যায়। প্যারিসের পুলিশ জানিয়েছে এ ব্যপারটি নিয়ে হোটেল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
বার্সেলোনা ছেড়ে পিএসজিতে যোগ দেয়ার পর প্যারিসের রয়্যাল মোনাও হোটেলে উঠেন লিওনেল মেসি। শুধুমাত্র একদিনের জন্য এই হোটেলে মেসিকে গুণতে হচ্ছে ১৭ হাজার ইউরো। আর্জেন্টাইন কিংবদন্তি আসার আগে মাইকেল জ্যাকসন, ম্যাডোনার মত তারকারা এখানে থেকেছেন। ফলে নিরাপত্তার বিষয় নিয়ে এখানে প্রশ্ন তোলার কোন অবকাশ নেই।