স্থানীয় প্রতিবেদক :
যশরেরর বসুন্দিয়ায় পূর্ব শত্রুতার জেরে এক কলেজ ছাত্রকে ছুরিকাঘাত করে পালিয়েছে অপর এক দুর্বৃত্ত। এমন অভিযোগে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানের সহায়তায় জনসাধারণ ওই দুর্বৃত্তকে ধরে পুলিশে সোপর্দ করে । ঘটনাটি ঘটেছে ১২ মার্চ রোববার বেলা ১১ টার দিকে। আহত কলেজ ছাত্র মোঃ নাজমুল হাসান বাঘারপাড়া উপজেলার বাসুয়াড়ী ইউনিয়নের আরাজী বাসুয়াড়ী গ্রামের মোঃ আবু তালেব সরদারের ছেলে। জানা গেছে নাজমুল হাসান যশোরের রুপদিয়া শহীদ স্মৃতি ডিগ্রি কলেজের ছাত্র। স্থানীয়রা জানান, বসুন্দিয়া গ্রামের চোরপাড়ার মৃত চোর সেলিম খান এর ছেলে নয়ন (২১) সহ ৩/৪ জনকে স্কুল এলাকায় ঘোরাফেরা করতে দেখা যায়। বেলা ১১ টার দিকে নাজমুল ও তার চাচাতো ভাই বাপ্পা বসুন্দিয়া স্কুল এন্ড কলেজের খেলাধুলা দেখতে আসে। এসময় নয়ন নামের এক দূর্বৃত্ত এলোপাতাড়ি ভাবে তার পিঠে এবং পেটে চাকু মেরে পালিয়ে যায়। আশপাশের লোকজন আহত নাজমুল হাসানকে দ্রুত আলাদীপুর বাজারের ডাক্তার ফজলুর রহমান এর চেম্বারে নিয়ে আসেন। কর্তব্যরত ডাক্তার প্রচুর রক্তক্ষরনের ফলে যশোর জেনারেল হাসপাতালে পাঠিয়ে দেন। আহতের পরিবার সূত্রে জানা গেছে, নাজমুল হাসানের অবস্থা এখন আশংকাজনক। এলাকাবাসী আরো জানান, নয়ন চুরি ডাকাতি ছিনতাই সহ নানা অপকর্মের সাথে জড়িত। এব্যাপারে তার বিরুদ্ধে থানা পুলিশে একাধিক অভিযোগ রয়েছে। নাজমুল হাসানের পরিবার সূত্রে জানা গেছে, নাজমুলের অবস্থা আশংকাজনক। যশোর জেনারেল হাসপাতালের চিকিৎসকরা বেগতিক দেখে দুপুরের পর উন্নত চিকিৎসার জন্য খুলনা ২৫০ শয্যা হাসপাতালে পাঠিয়ে দিয়েছেন। ঘটনার পর পর এলাকার খবর ছড়িয়ে পড়লে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানের পরামর্শে জনসাধারনকে সাথে নিয়ে কতিপয় ব্যাক্তি অভিযুক্ত নয়ন কে আটক করে স্থানীয় বসুন্দিয়া পুলিশ ক্যাম্পের এ এস আই আঃ আলীমকে খবর দিয়ে তার হাতে তুলে দেন। এসময়ে পুলিশ তার স্বীকারক্তিতে দুইটি বিদেশি চাকু ও একটি চাপাতি উদ্ধার করে বসুন্দিয়া পুলিশ ক্যাম্পে নিয়ে আসেন। আহত নাজমুলের চাচা মোঃ আলমগীর হোসেন বলেন, সে আইনের প্রতি বিশ্বাসী, শাস্তি হোক এটাই দাবি । ক্যাম্প ইনচার্জ কামরুজ্জামান সাংবাদিকদের বলেন, এবিষয়ে যথাযথ আইনী প্রক্রিয়ায় ব্যাবস্থা গ্রহণের উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।