করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে ১৩ জানুয়ারি থেকে নতুন করে বিধিনিষেধ আরোপ করেছে সরকার। তবে যশোরে সাধারণ মানুষের মধ্যে নেই কোনো আতঙ্ক। নেই কোনো ভীতি। এমনকি সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী কোথাও চলছে না কার্যক্রম। সামাজিক দূরত্ব মানার কোনো বালাই নেই। বাধ্যতামূলক মাস্ক পরার কথা থাকলেও বাজার, পরিবহন, হোটেল-রেস্তোরাঁসহ সরকারি-বেসরকারি অফিস আদালত সবখানেই তা উপেক্ষিত।
এদিকে, যশোরে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে করোনা রোগীর সংখ্যা। সিভিল সার্জন অফিসের মেডিক্যাল অফিসার ডা. রেহেনেওয়াজ জানান, সোমবার (১৭ জানুয়ারি) পাওয়া সর্বশেষ ফলাফলে জেলায় ১৬৪ জনের নমুনার বিপরীতে ৫০ জন শনাক্ত হয়েছেন। যা শতকরা হার ৩০ শতাংশের বেশি। এর মধ্যে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় জিনোম সেন্টার থেকে ১১৮ নমুনায় ২৪ জন ও র্যাপিড এন্টিজেন পরীক্ষায় ৪৬ নমুনায় ২৬ জন শনাক্ত হয়েছেন।
সিভিল সার্জন অফিসের তথ্য অনুযায়ী জানা যায়, জেলায় এক সপ্তাহের শনাক্ত হয়েছে ২৩৫ জন। একই সময়ে সুস্থ হয়েছেন ১৯ জন। সোমবার জেলায় সক্রিয় রোগী আছেন ২৮৯ জন। চলতি মাসের ১০ তারিখে সক্রিয় রোগী ছিলেন ৭৩ জন। অর্থাৎ এক সপ্তাহ সক্রিয় রোগী বেড়েছে ২১৬ জন। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে অন্তত ১৯৫ শতাংশ বেড়েছে করোনা রোগী।
সিভিল সার্জন ডা. বিপ্লব কান্তি বিশ্বাস বলেন, করোনা সংক্রমণ রোধে ইতোমধ্যে মন্ত্রিপরিষদ থেকে বিধিনিষেধ জারি করেছে। আমরা সে অনুযায়ী সচেতনতা বৃদ্ধি করতে কাজ করছি। তবে কেউ যদি মানতে না চায়, তাহলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ বিষয়ে জেলা প্রশাসন প্রস্তুত আছে।