২৫শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ / ১০ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ / ২৩শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি / সন্ধ্যা ৬:৪১
২৫শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ / ১০ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ / ২৩শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি / সন্ধ্যা ৬:৪১

যুক্তরাজ্য-যুক্তরাষ্ট্র সফর শেষে দেশের পথে প্রধানমন্ত্রী

যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্রে ১৮ দিনের সরকারি সফর শেষে সোমবার (৩ অক্টোবর) ভোর ৪টায় দেশের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

প্রধানমন্ত্রী ও তার সফরসঙ্গীদের বহনকারী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ভিভিআইপি চার্টার্ড ফ্লাইট ওয়াশিংটন সময় রোববার সন্ধ্যা ৬টায় ওয়াশিংটন ছেড়ে আসে।

যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ ইমরান, জাতিসংঘ স্থায়ী মিশনের প্রতিনিধি মোহাম্মদ আবদুল মুহিত প্রধানমন্ত্রীকে বিদায় জানান। এ সময় পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলমসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ডালাস এয়ারপোর্টে উপস্থিত ছিলেন।

দেশে ফেরার পথে লন্ডনে যাত্রাবিরতি করবেন শেখ হাসিনা। সেখান থেকে মঙ্গলবার (৪ অক্টোবর) রাতে ঢাকা হযরত শাহজালাল (রহ.) আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছানোর কথা রয়েছে তার।

মূলত রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া ও রাজা তৃতীয় চার্লসের অভিষেক অনুষ্ঠানে যোগ দিতে গত ১৫ সেপ্টেম্বর সরকারি সফরে যুক্তরাজ্যের লন্ডনে যান প্রধানমন্ত্রী। এরপর গত ১৯ সেপ্টেম্বর তিনি যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কের উদ্দেশে লন্ডন ত্যাগ করেন।

নিউইয়র্ক সফরকালে ২০ সেপ্টেম্বর সকালে জাতিসংঘ সদর দপ্তরে মহাসচিব অ্যান্তেনিও গুতেরেস এবং সন্ধ্যায় যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের দেওয়া অভ্যর্থনা অনুষ্ঠানে অংশ নেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

এদিন প্রধানমন্ত্রী জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৭তম অধিবেশনের উদ্বোধনী পর্বে অংশ নেন। এছাড়া স্লোভেনিয়ার প্রেসিডেন্ট বরুত পাহরের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করেন। জাতিসংঘের উদ্বাস্তুবিষয়ক উচ্চপর্যায়ের হাইকমিশনার ফিলিপো গ্র্যান্ডি এদিন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।

২১ সেপ্টেম্বর ইকুয়েডরের প্রেসিডেন্ট গুইলেমে ল্যাসো মেন্ডেজো, কসোভোর প্রেসিডেন্ট ভিজোসা ওসমানী সাদ্রিউর সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এদিন জাতিসংঘ সাধারণ অধিবেশনের সাইড লাইনে ‘টেকসই গৃহায়ণ’ বিষয়ে একটি অনুষ্ঠান এবং ‘গ্লোবাল ক্রাইসিস রেসপন্স গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন’ শীর্ষক সভায় অংশ নেন। এছাড়া জাতিসংঘ সদর দপ্তরে পদ্মা সেতুর স্থিরচিত্র প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন।

২২ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘ সাধারণ অধিবেশনের সাইড লাইনে রোহিঙ্গা বিষয়ক উচ্চপর্যায়ের একটি অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণসহ যুক্তরাষ্ট্র-বাংলাদেশ যৌথ ব্যবসায়ী সমিতির সঙ্গে গোলটেবিল এবং অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল রেজিস্ট্যান্স বিষয়ক বৈঠকে অংশ নেন প্রধানমন্ত্রী। এদিন তিনি কম্বোডিয়ার প্রধানমন্ত্রী হু সেনের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করেন। এছাড়া তার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন আইওএম’র মহাপরিচালক অ্যান্তেনিও ভিটোরিনো এবং আইসিসি প্রসিকিউটর নিক ক্লেগ ও করিম খান।

২৩ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে ভাষণ দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ভাষণে তিনি জবরদস্তিমূলক অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা, পাল্টা-নিষেধাজ্ঞার মতো বৈরী পন্থা পরিহার করে পারস্পরিক আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে সংকট ও বিরোধ নিষ্পত্তির মধ্য দিয়ে শান্তিপূর্ণ ও টেকসই পৃথিবী গড়ে তোলার আহ্বান জানান। 

২৪ সেপ্টেম্বর যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশিদের দেওয়া এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে (ভার্চুয়াল) অনুষ্ঠানে যোগ দেন শেখ হাসিনা। এরপর বিকালে নিউইয়র্ক থেকে ওয়াশিংটন ডিসিতে যান এবং ২ অক্টোবর পর্যন্ত সেখানে অবস্থান করেন প্রধানমন্ত্রী।

Facebook
Twitter
LinkedIn