২৬শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ / ১১ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ / ২৪শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি / দুপুর ২:৪৪
২৬শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ / ১১ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ / ২৪শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি / দুপুর ২:৪৪

যুক্তরাষ্ট্র অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন চায়

বাংলাদেশের আগামী জাতীয় নির্বাচনের দিকে গোটা বিশ্বের চোখ রয়েছে জানিয়ে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ যেন উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত হয় সেই প্রত্যাশা পুনর্ব্যক্ত করেছেন। একই সঙ্গে তিনি জানিয়েছেন, বাংলাদেশে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন হবে, এমনটিই চায় যুক্তরাষ্ট্র।

স্থানীয় সময় সোমবার (বাংলাদেশ সময় দিবাগত রাতে) স্টেট ডিপার্টমেন্টের থমাস জেফারসন হলে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এন্থনি ব্লিনকেনের সঙ্গে বৈঠকের পরে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন সাংবাদিকদের একথা জানান। বৈঠকে বাংলাদেশে অবাধ-সুষ্ঠু নির্বাচনের গুরুত্বের ব্যাপারে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে ঐকমত্য জানান ড. মোমেন। তিনি এ বিষয়ে বাংলাদেশ সরকারের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন।

সুষ্ঠু নির্বাচনের বিষয়ে বৈঠকের বরাত দিয়ে ড. মোমেন সাংবাদিকদের বলেন, আমি (মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে) বলেছি, অবশ্যই। এটাই আমাদের উদ্দেশ্য। আমরাও মডেল নির্বাচন চাই। এ ব্যাপারে আপনারাও আমাদের সাহায্য করেন, যেন আমরা অবাধ, সুষ্ঠু ও স্বচ্ছ নির্বাচন করতে পারি।

নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু করার বিষয়ে সরকারের পরিকল্পনার কথা ব্লিঙ্কেনের কাছে তুলে ধরে মোমেন বলেন, অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন করার জন্য আমরা কী করেছি- আমরা ফটো আইডি তৈরি করেছি, যাতে ভুয়া ভোট না হয়। আমরা বিশ্বাসযোগ্য ব্যালট বাক্স করেছি। আমরা একটা স্বাধীন নির্বাচন কমিশন করেছি। নির্বাচনের সময় নির্বাচন কমিশন সুপ্রিম। তারা ইচ্ছে করলে যেকোনো লোককে বদলি করতে পারে। কমিশনের এগুলো করার ক্ষমতা রয়েছে এবং তারা করেছে।

গত ১৪ বছরে কয়েক হাজার নির্বাচন হয়েছে জানিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, স্বল্প সংখ্যক কিছু অনিয়ম হয়েছে। সেখানে কমিশন ব্যবস্থা নিয়েছে। তবে নির্বাচন একা একা হয় না।

সরকারের একার পক্ষে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয় বলে মনে করেন মোমেন। তিনি বলেন, নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু শুধু সরকার করতে পারবে না। সেটার জন্য সব বিরোধী দলকে এগিয়ে আসতে হবে।

Facebook
Twitter
LinkedIn