২৬শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ / ১১ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ / ২৪শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি / ভোর ৫:৪৭
২৬শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ / ১১ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ / ২৪শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি / ভোর ৫:৪৭

যেসব দোকানপাট রাত ৮টার পরও খোলা থাকবে 

বিশ্বব্যাপী জ্বালানির অব্যাহত মূল্যবৃদ্ধির কারণে বিদ্যমান পরিস্থিতিতে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সাশ্রয়ের জন্য রাত ৮টার পর সারা দেশের দোকান, শপিংমল, মার্কেট, বিপণি বিতান, কাঁচাবাজার বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে সরকার। কিন্তু কিছু কিছু দোকানপাট খোলা রাখা যাবে চিঠির একাংশে এ বিষয়েও বলা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৬ জুন)  প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মহাপরিচালক (প্রশাসন) মো. আহসান কিবরিয়া সিদ্দিকী স্বাক্ষরিত চিঠিতে বলা হয়েছে, বিশ্বব্যাপী জ্বালানির অব্যাহত মূল্যবৃদ্ধির কারণে বিদ্যমান পরিস্থিতিতে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সাশ্রয়ে পদক্ষপে গ্রহণের জন্য প্রধানমন্ত্রী নির্দেশনা দিয়েছেন। বাংলাদেশ শ্রম আইন ২০০৬ এর ১১৪ ধারার বিধান কঠোরভাবে প্রতিপালনপূর্বক সারা দেশে রাত ৮টার পর দোকান শপিংমল মার্কেট বিপণীবিতান কাঁচাবাজার ইত্যাদি খোলা না রাখার বিষয়টি যথাযথভাবে নিশ্চত করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ করা হলো।

চিঠিতে আরো বলা হয়-

১. কোন দোকান, কোন দিন রাত্রি আট ঘটিকার পর খোলা রাখা যাইবে না। তবে শর্ত থাকে যে, কোন গ্রাহক যদি উক্ত সময়ে কেনা-কাটার জন্য দোকানে থাকেন তাহা হইলে উক্ত সময়ের অব্যবহতি আধাঘন্টা পর পর্যন্ত উক্ত গ্রাহককে কেনা কাটার সুযোগ দেওয়া যাইবে।

২. সরকার, বিশেষ অবস্থা বিবেচনায়, সরকারী গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, কোন মৌসুমে নোটিশে উল্লেখিত শর্তে কোন এলাকার দোকানের বন্ধের সময় পরিবর্তন করিতে পারিবে।

৩. এই ধারার বিধানাবলী নিম্নলিখিত ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হইবে না। যেমন- 
(ক) ডক, জেটি, ষ্টেশন অথবা বিমানবন্দর এবং পরিবহন সার্ভিস টার্মিনাল অফিস;
(খ) প্রধানতঃ তরি-তরকারী, মাংস, মাছ, দুগ্ধ জাতীয় সামগ্রী, রুটি, পেষ্টি, মিষ্টি এবং ফুল বিক্রির দোকান;
(গ) প্রধানতঃ ঔষধ, অপারেশন সরঞ্জাম, ব্যান্ডেজ অথবা চিকিৎসা সংক্রান্ত প্রয়োজনীয় সামগ্রীর দোকান,
(ঘ) দাফন ও অন্ত্যোষ্টিক্রিয়া সমপাদনের জন্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী বিক্রির দোকান,
(ঙ) প্রধানতঃ তামাক, সিগার, সিগারেট, পান-বিড়ি বরফ, খবরের কাগজ, সাময়িকী বিক্রির দোকান, এবং দোকানে বসিয়া খাওয়ার জন্য (হালকা নাশতা বিক্রির খুচরা দোকান)
(চ) খুচরা পেট্রোল বিক্রির জন্য পেট্রোল পাম্প এবং মেরামত কারখানা নয় এমন মোটর গাড়ির সার্ভিস
(ছ) নাপিত এবং কেশ প্রসাধনীর দোকান;
(জ) যে কোনো ময়লা নিষ্কাশন অথবা স্বাস্থ্য ব্যবস্থা:
(ক) যে কোনো শিল্প, ব্যবসা বা প্রতিষ্ঠান যাহা জনগণকে শক্তি, আলো অথবা পানি সরবরাহ করে;
(ঞ) ক্লাব, হোটেল, রেস্তোরাঁ, খাবার দোকান, সিনেমা অথবা থিয়েটার। তবে শর্ত থাকে যে, একই দোকানে অথবা বাণিজ্য প্রতিষ্ঠানে যদি একাধিক ব্যবসা-বাণিজ্য পরিচালিত হয় এবং উহাদের অধিকাংশ তাহাদের প্রকৃতির কারণে এই ধারার অধীন অব্যাহতি পাওয়ার যোগ্য তাহা হইলে সমগ্ৰ দোকান বা বাণিজ্য প্রতিষ্ঠানটির ক্ষেত্রে উক্তরূপ অব্যাহতি প্রযোজ্য হইবে।

আরও শর্ত থাকে যে, প্রধান পরিদর্শক, সরকারী গেজেটে প্রজ্ঞাপিত সাধারণ বা বিশেষ আদেশ দ্বারা, উপরোক্ত প্রত্যেক প্রতিষ্ঠান বা প্রতিষ্ঠান শ্রেণির জন্য উহার খোলা ও বন্ধের সময় স্থির করিয়া দিতে পারিবেন।

Facebook
Twitter
LinkedIn