রংপুর সিটি নির্বাচনে মেয়র পদে জাতীয় পার্টির প্রার্থী মোস্তাফিজার রহমান বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। লাঙ্গল প্রতীক নিয়ে তিনি পেয়েছেন ১ লাখ ৪৬ হাজার ৭৯৮ ভোট।
তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ইসলামী আন্দোলনের মো. আমিরুজ্জামান। তিনি হাতপাখা প্রতীকে পেয়েছেন ৪৯ হাজার ৮৯২ ভোট। এরপর হাতি প্রতীকে ৩৩ হাজার ৮৮৩ ভোট পেয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী লতিফুর রহমান। আর নৌকা প্রতীক নিয়ে ২২ হাজার ৩০৬ পেয়ে চতুর্থ অবস্থানে আছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী হোসনে আরা লুৎফা। রংপুর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে ২২৯টি কেন্দ্রের ভোট গণনা শেষে, রিটানিং কর্মকর্তা আবদুল বাতেন ফল ঘোষণা করেন।
এদিকে, রংপুর সিটি নির্বাচন শান্তিপূর্ণ ও উৎসবমুখর হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল। তিনি বলেন, শুধু ইভিএম নয়, নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি বেশি হওয়ার কারণেই ভোটগ্রহণ ধীর হয়েছে। নির্বাচন কমিশনে সাংবাদিকদের সাথে এ বিষয়ে কথা বলেন সিইসি। এদিকে রিটার্নিং কর্মকর্তা জানান, রংপুরে ভোট পড়েছে ৬৫ দশমিক নয় এক শতাংশ।
মঙ্গলবার সকাল থেকেই রংপুর সিটি নির্বাচন সিসি ক্যামেরার মাধ্যমে পর্যবেক্ষন করে নির্বাচন কমিশন। নির্বাচন ভবন থেকে ২২৯টি কেন্দ্র পর্যবেক্ষন করা হয় ১৮০৭টি সিসি ক্যামেরার মাধ্যমে।
সারাদিন পর্যবেক্ষন শেষে সিইসি বলেন, ভোট শান্তিপূর্ন ও উৎসবমুখর হয়েছে। ভোট ধীর হওয়ার কারন শুধু ইভিএম নয়। তবে সার্বিক পর্যবেক্ষনে যদি দেখা যায় ইভিএমের কারনে ভোটগ্রহন বিলম্বিত হয়েছে, তখন সেটি আমলে নেয়া হবে।
সাংবাদিকদের প্রশ্নে সিইসি বলেন, বর্তমান কমিশনের অধীনে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে সহিংসতা একেবারেই হয়নি। এই ধারা জাতীয় নির্বাচন পর্যন্ত ধরে রাখা গেলে ভোটার উপস্থিতি বাড়বে।
সিইসি জানান, বিএনপির ছেড়ে দেয়া আসনগুলোতে সিসি ক্যামেরা প্রয়োজন হলে দেয়া হবে। তবে, যৌক্তিক কারণ ছাড়া আগামীতে সিসি ক্যামেরা ব্যবহার হবে না।