ভারতের সাথে বাংলাদেশের আত্মিক সম্পর্কের চেয়ে বাণিজ্যিক সম্পর্কটা খুব গভীর। মিলিয়ন মিলিয়ন ডলারের সাথে এই সম্পর্কটা জড়িত। কোনরূপ উসকানি আর ইন্ধনে এই সু-সম্পর্ক বিনষ্ট হলে ভারতকেই এর প্রায়শ্চিত্য করতে হবে সবচেয়ে বেশি। আমরা পণ্যসামগ্রী আরও বেশি পরিমাণে উৎপাদনে চলে যাব। আর চিকিৎসা, পর্যটন ও আমদানীতে ভারত ভিন্ন অন্য কোথাও নজর দিবো। এতে করে বাংলাদেশের কোন জটিল সমস্যা হবে না। নির্ঘাৎ অর্থনৈতিক বিশাল অংকের ক্ষতির মুখোমুখি তারাই পড়বে। যা হবে মারাত্মক এবং ভয়াবহ আর্থিক ভরাডুবি। মোদি সরকার যা বুঝেও বুঝে না, ভারতবাসীকে তা বুঝতে হবে।
৩ তারিখ-মঙ্গলবার-২০২৪ ব্রাহ্মণবাড়িয়া সীমান্ত দিয়ে মাছ পাঠানো হলো। ভারতে গেল আমাদের ১০৫ মেট্রিক টন মাছ। কেজি প্রতি মাছের দাম আড়াই ডলার বা ৩০০ টাকা। গড়ে ৩ কোটি টাকা। বিনিময়ে আমরা ভারত থেকে তো কিছু আনতে পারলাম না। সেই পথ পরিক্রমা ভারত নিজেরাই আটকে দিয়েছে। এই মাছ প্রাপ্তীর দিনটিতেই ত্রিপুরার আগরতলায় ভারত বাংলাদেশের খাবার-দাবার, হোটেল, চিকিৎসা পরিষেবা সব বন্ধ করে দিয়েছে। আর ভিসা তো আগেই বন্ধ রেখেছে। চিকিৎসা ও পর্যটন ব্যবসায় ভারতের পুরো লাটে! বাংলাদেশের রপ্তানি আয় হলো মাছ দিয়ে। একই দিনে বাংলাদেশের সাথে নতুন বাণিজ্য চুক্তিতে ভারতের চিনি আউট! মানে বাংলাদেশ ২৫ হাজার টন চিনি কিনছে ভারতের চিরশত্রু পাকিস্তানের কাছ থেকে। আন্তর্জাতিক বাজারে প্রতি টন চিনির দাম পড়বে ৫৩০ মার্কিন ডলার। এতদিন বাংলাদেশ বিপুল পরিমাণের চিনি কিন্তু ভারত থেকেই কিনে আসছিল। কয়েক দশক পর ঢাকার সাথে করাচীর একটি নতুন বাণিজ্যিক সম্পর্ক সৃষ্টি হলো। আসলে হলো তো না-যেই সুযোগ সাম্প্রতিক গোলযোগে ভারত-ই তৈরি করে দিলো। একের পর এক আমাদের সব বন্ধ করে করে ভারত যেই প্রতিহিংসার আগুন জ্বেলেছে। এই আগুনে যে ভারতের অর্থনৈতিক বাজার ব্যবস্থাই জ্বলে পুড়ে ছাই হয়ে যাবে, তা কিন্তু এখন পাকিস্তানের ২৫ হাজার টন চিনি রপ্তানি থেকেই টের পাবে। বুঝতে পারবে যে আগুনে তারা নিজেরাই ঘি ঢেলেছে। তার উত্তাপ কতটা ভয়াবহ!
মারুফ আহমেদ, বিশেষ প্রতিনিধি