রাওয়ালপিন্ডি টেস্টে জয়ের জন্য শেষ দিনে পাকিস্তানের প্রয়োজন ছিল ২৬৩ রান। হাতে ছিল ৮ উইকেট। রাওয়ালপিন্ডির ‘হাইওয়ের’ পিচে এই রান পাড়ি দেওয়া কোনো অসম্ভব কাজ ছিলনা।
ড্রয়ের জন্য চেষ্টা করেও শেষ পর্যন্ত হার এড়াতে পারল না পাকিস্তান। আজ (সোমবার) ৭৪ রানের রুদ্ধশ্বাস জয়ে তিন ম্যাচ সিরিজে ১-০ তে এগিয়ে গেল ইংল্যান্ড।
গতকাল (রোববার) টেস্ট ম্যাচের চতুর্থ দিনে চা-বিরতির পরপরই পাকিস্তানকে ৩৪৩ রানের লক্ষ্য দিয়েছিল বেন স্টোকসের দল। এমন সাহসী সিদ্ধান্তের তারিফ হয়েছিল কিন্তু জিততে না পারলে এসব কিছুরই মূল্য থাকেনা। স্টোকসকে তার বোলাররাও হতাশ করেনি। উইকেটে কিছু না থাকলেও নিজেদের সবটুকু নিংড়ে দিয়েছেন তারা। তাই তো ম্যাচ শেষে জয়ের নায়ক দ্বিতীয় ইনিংসে ৪ উইকেট নেওয়া পেসার ওলি রবিনসন, হলেন ম্যাচ সেরা।
২ উইকেট ৮০ রান নিয়ে দিন শুরু করা পাকিস্তান দ্রুতই হারায় ইমাম উল হককে। এরপর চতুর্থ উইকেটে মোহাম্মদ রিজওয়ানের সঙ্গে প্রতিরোধ গড়ে তোলেন সৌদ শাকিল। জেমস অ্যান্ডারসনের কারণে ৮৭ রানের বেশি এগোতে পারেনি এই জুটি। ৪৬ রান করা রিজওয়ানকে ফেরান অ্যান্ডারসন। পরে ৭৬ রান করা শাকিলকে তুলে নিয়ে ইংলিশদের জয়ের সম্ভাবনা বাড়িয়ে দেন রবিনসন।
তবে ষষ্ঠ উইকেটে আজহার আলী ও আগা সালমানের জুটিতে রান এগিয়ে নিলে আবারও প্রাণ ফিরে পায় পাকিস্তান। তাদের ভাঙতে এবারও ইংল্যান্ডের ত্রাণকর্তা রবিনসন। দুই ওভারের ব্যবধানে দুজনকে সাজঘরের পাঠান তিনি। ভেঙে যায় ৬১ রানের জুটি। পরে জয় তুলে নিতে খুব বেশি দেরি করেনি ইংল্যান্ড। জ্যাক লিচের এলবিডব্লিউর ফাঁদে পরে নাসিম শাহ বিদায় নিলে ২৬৮ রানেই স্বাগতিকদের গুটিয়ে দেয় তারা। নির্ধারিত সময়ে খেলা শেষ হতে তখনো বাকি ছিল আরও ৫ ওভার।
ম্যাচে সেঞ্চুরি করেন বেন ডাকেট, জ্যাক ক্রলি, ওলি পোপ ও হ্যারি ব্রুক। জবাবে পাকিস্তানও কম যায়নি। আব্দুল্লাহ শফিক, ইমাম উল হক ও বাবর আজমের সেঞ্চুরিতে ৫৭৯ রান করে তারা।