লক্ষ্যটা বেশ চ্যালেঞ্জিং ছিল, ১৬১ রানের। এই রান তাড়া করতে নেমে আবার প্রথম ওভারে উইকেটও হারিয়ে ফেলে দিল্লি ক্যাপিটালস। কিন্তু ডেভিড ওয়ার্নার আর মিচেল মার্শ মিলে এরপর রীতিমত ছেলেখেলা করেছেন রাজস্থান রয়্যালস বোলারদের নিয়ে।
ফলে লড়াকু পুঁজি গড়েও দিল্লির কাছে পাত্তা পায়নি রাজস্থান। ৮ উইকেট আর ১১ বল হাতে রেখেই জিতেছে রিশাভ পান্তের দিল্লি। আর তাতে এখনও নকআউটের আশা বাঁচিয়ে রেখেছে ঋষভ পন্তরা। ১২ ম্যাচ শেষে ১২ পয়েন্ট নিয়ে পাঁচে অবস্থান করছে দিল্লি।
বুধবার নিজেদের ১২ তম ম্যাচে রাজস্থানের বিপক্ষে খেলতে নামে দিল্লি । টসে জিতে বোলিং করার সিদ্ধান্ত নেন দিল্লির অধিনায়ক পন্ত। এদিনও মুস্তাফিজুর রহমানকে ছাড়াই একাদশ সাজায় দিল্লি। এ নিয়ে টানা তিন ম্যাচে ডাগ আউটে থাকতে হলো কাটার মাস্টারকে। ডি ওয়াই পাতিল স্টেডিয়ামে রবিচন্দ্র অশ্বিনের অর্ধশতকে ভর করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ১৬০ রান সংগ্রহ করে রাজস্থান।
টসে হেরে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালো করতে পারেনি রাজস্থান। দ্বিতীয় উইকেটে ১৪৪ রানের জুটিতে ম্যাচটা সহজেই বের করে নেন ওয়ার্নার-মার্শ। ভয়ংকর মার্শ ৬২ বলে ৫ বাউন্ডারি আর ৭ ছক্কায় ৮৯ রানের বিধ্বংসী এক ইনিংস খেলে আউট হন। ৪১ বলে ৫২ রানে অপরাজিত থাকেন ওয়ার্নার।
১৮তম ওভারে মার্শ আউট হওয়ার পর ইয়ুজবেন্দ্র চাহালের ওই ওভারেই দুই ছক্কা মেরে ম্যাচ শেষ করে দেন রিশাভ পান্ত। দিল্লি অধিনায়ক ৪ বলে ১৩ রান করে বিজয়ীর বেশে মাঠ ছাড়েন।
শুরুতেই জস বাটলারকে (১১ বলে ৭) হারিয়ে বসে রাজস্থান। জশস্বী জ্যাসওয়েলও ঠিক টি-টোয়েন্টির মতো খেলতে পারেননি ১৯ বলে ১৯)।
তবে তিন নম্বরে নেমে রবিচন্দ্রন অশ্বিন তুলে নেন দারুণ এক হাফসেঞ্চুরি। ৩৮ বলে ৪ বাউন্ডারি আর ২ ছক্কায় ৫০ রানের ইনিংস বেরিয়ে আসে তার উইলো থেকে। অশ্বিন দলকে একশ পার করে দেন।
কিন্তু সঞ্জু স্যামসন (৬) আর রিয়ান পরাগ (৯) সুবিধা করতে পারেননি। একটা প্রান্ত ধরে চালিয়ে খেলে যাচ্ছিলেন দেবদূত পাডিক্কেল। ভয়ংকর এই ব্যাটার হাফসেঞ্চুরির দোরগোড়ায় এসে ভুল করে বসেন।
১৯তম ওভারে অ্যানরিচ নরকিয়াকে মারতে গিয়ে ডিপ পয়েন্টে বদলি ফিল্ডার নাগরকতির দারুণ এক ক্যাচ হন দেবদূত। ৩০ বলে ৬ বাউন্ডারি আর ২ ছক্কায় বাঁহাতি এই ব্যাটারের ইনিংসটি ছিল ৪৮ রানের।
দিল্লির বোলারদের মধ্যে সবচেয়ে সফল ছিলেন চেতন সাকারিয়া। ২৩ রান খরচায় ২টি উইকেট নেন তিনি। নরকিয়া ২ উইকেট পেলেও ৪ ওভারে খরচ করেন ৩৯ রান।