২৪শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ / ৯ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ / ২২শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি / সকাল ১০:২৩
২৪শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ / ৯ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ / ২২শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি / সকাল ১০:২৩

রাশিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা যুদ্ধ ঘোষণার শামিল

ইউক্রেনে হামলার চালানোর জেরে রাশিয়ার ওপরে পশ্চিমা নানা দেশ যে নিষোধাজ্ঞা আরোপ করেছে, প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন মনে করছেন তা রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণার শামিল।

রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, ইউক্রেনের আকাশসীমার উপরে বিমান চলাচল বন্ধ বা ‘নো ফ্লাই জোন’ ঘোষণা দিলে সেটিকে সক্রিয়ভাবে যুদ্ধে অংশগ্রহণ হিসেবে বিবেচনা করা হবে। কেউ যদি এমন করে তবে তাকে শত্রু হিসেবেই জবাব দেয়া হবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।

রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় এয়ারলাইন্স এরোফ্লোটের একটি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র সফরকালে তিনি এসব কথা বলেন।

রুশ প্রেসিডেন্ট আরো বলেন, বর্তমান নেতৃবৃন্দকে বুঝতে হবে যে তারা যে পথে এগোচ্ছে, সেই পথেই যদি এগোতে থাকে তাহলে তারা রাষ্ট্র হিসেবে ইউক্রেনের ভবিষ্যৎ ঝুঁকিতে ফেলবে।

রাশিয়াতে মার্শাল ল ঘোষণা এবং রাশিয়ার সরকারি কার্যক্রম সেনাবাহিনীর অধীনে চলে যাবে এমন গুজব তৈরি হয়েছে। তবে রাশিয়াতে জরুরী অবস্থা ঘোষণা করা হবে কিনা এমন ধারণা নাকচ করে দিয়ে ভ্লাদিমির পুতিন বলেছেন, সামরিক কর্মকাণ্ড রয়েছে এমন নির্দিষ্ট কোন জায়গার বাইরে থেকে আগ্রাসনের ঘটনা ঘটলে শুধুমাত্র তখনই এমন পদক্ষেপ নেয়া হবে।

এর আগে, রাশিয়া ইউক্রেনে হামলা চালানোর পর পশ্চিমা বিশ্ব রাশিয়ার বিরুদ্ধে বেশ কিছু অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। যার মধ্যে রয়েছে আন্তর্জাতিক আর্থিক লেনদেন ব্যবস্থা ‘সুইফট’ থেকে রাশিয়ার কয়েকটি ব্যাংককে বিচ্ছিন্ন করা, বিদেশে পুতিনের যেসব সম্পদ রয়েছে সেগুলো জব্দ করা।

এছাড়া বিভিন্ন আন্তঃদেশীয় কোম্পানি রাশিয়াতে কার্যক্রম বন্ধ অথবা সীমিত করেছে। সর্বশেষ শনিবার স্যামসাং, আর্থিক প্রতিষ্ঠান ভিসা, মাস্টারকার্ড, পেপ্যাল এবং পোশাক বিক্রেতা কোম্পানি জারা রাশিয়াতে ব্যাবসায়িক কার্যক্রম স্থগিত করার ঘোষণা দিয়েছে।

নিষেধাজ্ঞার অর্থনৈতিক প্রভাব ইতিমধ্যেই রাশিয়ার ওপর পড়তে শুরু করেছে। রাশিয়ান মুদ্রা রুবলের মূল্য কমে গেছে। বাধ্য হয়ে দেশটির কেন্দ্রীয় ব্যাংক সুদের হার দ্বিগুণ করেছে।

ভ্লাদিমির পুতিন তার সর্বশেষ মন্তব্যে ইউক্রেনে কেন রাশিয়া হামলা চালিয়েছে তার পক্ষে যুক্তি দেবার চেষ্টা করেছেন।

এসব যুক্তি তিনি অবশ্য এর আগেও দিয়েছেন যে, তিনি ইউক্রেনে রুশ ভাষাভাষী জনগোষ্ঠীকে রক্ষায় ‘বেসামরিকীকরণ ও ইউক্রেনকে নাৎসি মুক্ত’ করতে চেয়েছেন।

তিনি আরো বলেন, আমাদের সেনাবাহিনী তার দায়িত্ব সম্পন্ন করবে। সে নিয়ে আমার কোন সন্দেহ নেই। যেভাবে পরিকল্পনা করা হয়েছে, সবকিছু সেভাবেই এগোচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন রুশ প্রেসিডেন্টের।

এদিকে রাশিয়ার পারমাণবিক শক্তিকে বিশেষ সতর্ক অবস্থায় রাখার জন্য রুশ সামরিক বাহিনীকে আদেশ দিয়েছেন ভ্লাদিমির পুতিন।

Facebook
Twitter
LinkedIn