টি-২০ ক্রিকেট বোধ হয় একেই বলে। রুদ্ধশ্বাস ম্যাচ একেই বলে। ভারত এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজের মহাকাব্যিক লড়াইয়ের সাক্ষ্মী থাকল ইডেন। ওয়ানডে সিরিজ এবং টি-২০ সিরিজের প্রথম ম্যাচে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে দেখে অনেকেরই মনে হয়েছিল ভারতের জন্য বাকি দুটি ম্যাচও হয়তো ডাল-ভাত হতে চলেছে।
কিন্তু শুক্রবারের ইডেনে টিম ইন্ডিয়াকে রীতিমতো কড়া টক্কর দিল ক্যারিবিয়ানরা। পাওয়েল এবং পুরানের দাপটে একটা সময় মনে হচ্ছিল ম্যাচ বুঝি ভারতের হাতছাড়া হয়ে যায়। কিন্তু শেষপর্যন্ত স্নায়ুর চাপ সামলে টিম ইন্ডিয়াকে ম্যাচ জিতিয়ে দেন ভুবনেশ্বর কুমার এবং হর্ষল প্যাটেল।
এদিন ইডেনে রোহিত টস হারায় প্রথমে ফিল্ডিং করতে বাধ্য হয় ভারত। শুরুটাও ভালো হয়নি। ১০ রানেই ঈশান আউট হয়ে যান। রোহিতকেও ছন্দে দেখাচ্ছিল না তেমন। অথচ, শিশির ভেজা ইডেনে জিততে প্রয়োজন বড় রান। এই অবস্থায় নেমে একেবারে নিজের স্বাভাবিক ছন্দে ধরা দিলেন কিং কোহলি। ৭টি চার এবং একটি ওভার বাউন্ডারি হাঁকিয়ে ৩৯ বলে নিজের টি-২০ কেরিয়ারের ৩০তম হাফ সেঞ্চুরিটি করে ফেললেন তিনি।
কোহলি আউট হওয়ার পর ভারত চাপের মুখে পড়ে যায়। কিন্তু তখনই পালটা আক্রমণের পথে হাঁটেন ঋষভ পন্থ এবং ভেঙ্কটেশ আইয়ার। ক্যারিবিয়ানদের পালটা চাপ দেন তারা। ডেথ ওভারে ঝড়ের গতিতে রান তুলতে থাকেন দুই বাঁহাতি ব্যাটার। মাত্র ১৮ বলে ৩৩ রান করেন ভেঙ্কটেশ। চারটি চার এবং একটি ছক্কা হাঁকান তিনি। পন্থ অনবদ্য অর্ধশতরান করেন। ২৮ বলে ৫২ রান করেন তিনি। নির্ধারিত ২০ ওভারে ৫ উইকেটের ১৮৬ রান তোলে ভারত।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালো না হলেও নিকোলাস পুরান এবং রোভম্যান পাওয়েল একটা সময় দুর্দান্ত লড়াই করেছিলেন। ম্যাচের ১৭ তম ওভার পর্যন্ত লড়াইয়ে ছিল ক্যারিবিয়ানরা। কিন্তু ১৮ তম ওভারে হর্ষল প্যাটেল দেন মাত্র ৯ রান। পরের ওভারেই পুরানকে ফিরিয়ে দেন ভুবি। ১৯তম ওভারটিতে মাত্র ৪ রান দেন তিনি।
শেষ ওভারে জয়ের জন্য ২৬ রান দরকার ছিল পোলার্ডদের। শেষ ওভারে পাওয়েল দু’টি ছক্কা হাঁকালেও লক্ষ্যে তাকে পৌঁছাতে দেননি হর্ষল। শেষ পর্যন্ত রানে ৮ জিতে যায় ভারত। ক্যারিবিয়ানদের হয়ে দুর্দান্ত ৬২ রানের ইনিংস খেললেন পুরান। পাওয়েল করলেন ৬৮ রান।
জয়ের ফলে ৩ ম্যাচের সিরিজ এক ম্যাচ বাকি থাকতেই পকেটে পুরে ফেলল ভারত।