২৮শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ / ১৩ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ / ২৬শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি / রাত ২:৩১
২৮শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ / ১৩ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ / ২৬শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি / রাত ২:৩১

রোজিনার মুক্তির দাবি টেলিভিশনের পাঁচ সংগঠনের

রোজিনার মুক্তির দাবি টেলিভিশনের পাঁচ সংগঠনের

সাংবাদিক রোজিনা ইসলামকে হেনস্থা ও গ্রেপ্তারে টেলিভিশনের পাঁচ সংগঠন একযোগে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে। তারা রোজিনার মুক্তি দাবি করেছেন। মঙ্গলবার রাতে টেলিভিশনের পাঁচটি সংগঠন এফটিপিও, টেলিপ্যাব, ডিরেক্টরস গিল্ড, অভিনয়শিল্পী সংঘ ও টেলিভিশন নাট্যকার সংঘের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক স্বাক্ষরিত চিঠিতে এ দাবি জানানো হয়েছে। চিঠিতে তারা বলেন, সোমবার বাংলাদেশের সচিবালয়ে সর্বোচ্চ সর্তকতার মধ্যে প্রথম আলোর সিনিয়র রিপোর্টার রোজিনা ইসলামকে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের একান্ত সচিবের কক্ষে যে ভাবে নিপীড়ন করা হয়েছে তাতে অতীতে এই ধরণের ঘটনা কখনো প্রত্যক্ষ করা যায়নি। সৎ সাংবাদিকতার প্রতীক এই নারী সাংবাদিক তার পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে জনৈক অতিরিক্ত সচিবের কোপানলে পড়ে যায়। এরপর তার বর্বরতা সমস্ত ভব্যতার সীমা অতিক্রম করে। শুধু তাই নয় পাঁচ ঘণ্টা আটকে রাখার পর প্রশাসনিক ক্ষমতার অপব্যবহার করে তাকে থানায় পাঠিয়ে দেওয়া হয়। সেখানে অসুস্থ এই নারী সাংবাদিককে সারারাত আটকে রেখে আদালতে হাজির করা হয়।

সেখান থেকে আদালত তাকে জেলে পাঠিয়ে দেয়। পুরো বিষয়টি আমাদের বিবেককে ভীষণভাবে নাড়া দিয়েছে। এই কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত সকল কর্মকর্তার শাস্তি কামনা করছি এবং রোজিনা ইসলামের অবিলম্বে মুক্তির দাবি জানাচ্ছি। প্রসঙ্গত, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে সোমবার (১৭ মে) পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে প্রতিষ্ঠানটির কর্মকর্তা কর্মচারীদের দ্বারা হেনেস্তার শিকার হয়েছেন সাংবাদিক রোজিনা ইসলাম। তাকে বিকাল ৩টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত মন্ত্রণালয়ের একটি কক্ষে আটকে রাখা হয়। এরপর রাতে তাকে শাহবাগ থানায় স্থানান্তর করে মামলা দেওয়া হয়। মঙ্গলবার (১৮ মে) তাকে আদালত কারাগারে প্রেরণ করে। পুরো ঘটনায় দেশবাসীর পাশাপাশি শিল্পী সমাজও স্থম্ভিত। জানাচ্ছেন এর প্রতিবাদ।

Facebook
Twitter
LinkedIn